ধীমান রায়, কাটোয়া: গরু পাচার কাণ্ডে তোলপাড় গোটা বাংলা। ইতিমধ্যেই এই মামলায় সিবিআইয়ের জালে অনুব্রত মণ্ডল। তারই মাঝে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে গ্রেপ্তার ৯ গরুপাচারকারী। বাজেয়াপ্ত ৪৭টি গরু এবং ২টি মিনি ট্রাক। ধৃতদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে গরুগুলিকে এখনও ওই ন’জনের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি।
বুধবার রাতে কেতুগ্রামের নিরোল রোডের কাছে ৪৭টি গরু-সহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২টি মিনি ট্রাক বাজেয়াপ্তও করা হয়। তদন্তকারীদের দাবি, ওই ন’জন ৪৭টি গরু নিয়ে যাচ্ছিল। ২টি মিনি ট্রাকে বেশ কয়েকটি গরু ছিল। বাকি গরুগুলিকে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল তারা। তাতেই সন্দেহ হয়। গরুগুলিকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়। কোথা থেকে গরুগুলিকে নিয়ে যাচ্ছে তারা? কেনই বা গভীর রাতে গরুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে – এমনই নানা প্রশ্ন করা হয় তাদের।
তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, ওই ৯ জন জানায় নানুর থেকে গরুগুলিকে নিয়ে আসা হচ্ছে। পাচণ্ডির হাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য গরুগুলিকে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানানো হয়। তবে তাদের কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না বলেই দাবি তদন্তকারীদের। জিজ্ঞাসাবাদেও বেশ কিছু অসংগতি নজরে আসে বলেই খবর। তারপরই গ্রেপ্তার করা হয় ওই ৯ জনকে। বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়। তবে জামিনে মুক্তি পেয়ে যায় সকলেই।
গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তারির পর সিবিআই জেরাপর্ব শুরু করেছে। তাতে একটা বিষয় ক্রমশ স্পষ্ট যে, গরু পাচারচক্রের খুঁটি পোঁতা বীরভূমেই (Birbhum)। এখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হতো গরু পাচারের কারবার। সায়গল এবং লতিফ – দু’পক্ষের হয়ে ‘ডিল’ করত এই দু’জন। এছাড়া সিবিআইয়ের নজরে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, গুসকরার পশুহাট। প্রসঙ্গত, এই তিনটি এলাকার পর্যবেক্ষক ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার নিয়ে জলঘোলা পরিস্থিতির মাঝে কেতুগ্রামে গরু পাচারকারী গ্রেপ্তারির ঘটনা যে তদন্তকারীদের আরও উদ্বেগ বাড়াল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.