সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাসে কন্ডাক্টরের ‘অপকীর্তি’। হস্তমৈথুন করে নাবালিকার গায়ে বীর্যপাত বছর পঞ্চান্নর কন্ডাক্টরের। ওই নাবালিকার অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ ধরে তার সঙ্গে অশালীন আচরণও করে সে। বাস থেকে নেমে নাবালিকা ও তার মা ডিপোতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত কন্ডাক্টরকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করছেন ওই বাসের বেসরকারি সহযোগী পরিচালক সংস্থা। এই ঘটনার পৃথক তদন্ত করছে দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমও।
বৃহস্পতিবার পানাগড় থেকে মায়ের সঙ্গে আসানসোল-মালদহগামী বাসে ওঠে বীরভূমের পুরন্দরপুরের বাসিন্দা ওই নাবালিকা। এই বাসটি আসানসোলের এক বেসরকারি এজেন্সি ফ্রানচাইজি হিসাবে চালায়। ওই নাবালিকা ও তার মা ভরতি বাসে উঠে প্রথমে বসার জায়গা পাননি। নাবালিকার দাবি, সেই সময় বাসের কন্ডাক্টর জনার্দন দাস তার পাশেই তাকে বসতে বলেন। মা নাবালিকার পাশের আসনেই বসেন। অভিযোগ, এরপরই ওই কন্ডাক্টর নাবালিকার সঙ্গে লাগাতার অশালীন আচরণ করতে থাকে। হস্তমৈথুন করে নাবালিকার গায়ে বীর্যপাত করে বলেও অভিযোগ। এরপরই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের গন্তব্য সিউড়িতে নেমে পড়েন নাবালিকার মা।
[আরও পড়ুন: শিবের প্রেমে পাগল! বান্ধবীর সঙ্গে পালিয়ে পুলিশের জালে দুই কিশোরী]
বাস থেকে নেমে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (SBSTC) ডিপোতে গিয়ে অভিযোগ জানান ওই নাবালিকা ও তার মা। অভিযোগ পেয়েই নিগমের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ফ্রানচাইজির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এদিকে, সিউড়িতে বাস থামতেই অভিযুক্ত কন্ডাক্টর জর্নাদন দাস পালিয়ে যায়। দুর্গাপুর বাসস্ট্যান্ডে কন্ডাক্টর অভিযোগ অস্বীকারও করে। তবে আসানসোলের ফ্রানচাইজি সংস্থার কর্ণধার সুজন দত্ত বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরই ওই কন্ডাক্টরের সঙ্গে কথা হয়েছে। যাত্রীদের সঙ্গে বসার জায়গা ও ভাড়া নিয়ে বচসা হয়েছিল তার।” কন্ডাক্টর অস্বীকার করলেও ফ্রানচাইজি সংস্থার কর্ণধারের দাবি, সাময়িক উত্তজেনার বশে এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে জনার্দন। অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। সমালোচনার ভাষা নেই। তাকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাসে সিসিটিভি রয়েছে। ফুটেজ-সহ থানায় অভিযুক্ত কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হবে। পৃথকভাবে দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমও তদন্ত শুরু করেছে। নিগমের দুর্গাপুরের ডিভিশনাল ম্যানেজার দীপ্তিমান সিনহা বলেন, “এরকম একটা ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি। অভিযোগ সত্যি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ছবি: উদয়ন গুহ রায়