Advertisement
Advertisement
কুমির

পেটের টানে নদীতে যাওয়াই কাল, স্ত্রীর সামনেই মৎস্যজীবীকে টেনে নিয়ে গেল কুমির

মৎস্যজীবীর খোঁজে নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে ২ টি লঞ্চ।

A fisherman killed by the attack of crocodile in south 24 pargana on wednesday
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:June 24, 2020 6:30 pm
  • Updated:June 24, 2020 6:32 pm

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: পেটের টানে নদীতে যাওয়াই কাল হল। মাছ ধরার সময় কুমিরে টেনে নিয়ে গেল ষাটোর্দ্ধ এক মৎস্যজীবীকে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবন (Sundarban) পুলিশ জেলার পাথরপ্রতিমার মাধবনগর এলাকায়। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও সন্ধান মেলেনি ওই মৎস্যজীবীর। নিখোঁজ মৎস্যজীবীর খোঁজে লঞ্চ নিয়ে নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের কর্তারা।

পাথরপ্রতিমা ব্লকের মাধবনগরের দুর্গাগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর ৬৮-এর বিষ্ণুপদ সাঁতরা। বাড়ির অদূরেই রয়েছে জগদ্দল নদী। প্রতিদিনের মত বুধবার সকালেও ভাঁটার সময় নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরছিলেন তিনি। নদীর পাড়েই দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। আচমকাই প্রবীণ ওই মৎস্যজীবীর পা কামড়ে ধরে একটি কুমির। বেশ কিছুক্ষণ কুমিরের সঙ্গে লড়াই চালিয়েও ব্যর্থ হন তিনি। ততক্ষণে তাঁর চিৎকারে আশপাশ থেকে ছুটে যান তাঁর স্ত্রী-সহ অন্য মৎস্যজীবীরা। লাঠি, বাঁশ দিয়ে আঘাত করে বিষ্ণুপদবাবুকে কুমিরের মুখ থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তাঁরা। স্ত্রীর চোখের সামনেই কুমিরটি বিষ্ণুপদবাবুকে কামড়ে ধরে টেনে নিয়ে যায় মাঝনদীতে। রক্তে লাল হয়ে ওঠে জগদ্দল নদী।

Advertisement

crocodile-1

Advertisement

[আরও পড়ুন: তৃণমূল কর্মীদের হাতে নিগৃহীত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী, নির্যাতিতার বাড়ি গেলেন অগ্নিমিত্রা]

এরপরই ঘটনার কথা জানানো হয় পাথরপ্রতিমা থানায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি লঞ্চ তল্লাশিতে নামে। নিখোঁজ মৎস্যজীবীর খোঁজে নদীতে তল্লাশি চালায় বিডিও অফিসের একটি লঞ্চও। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পরও ওই মৎস্যজীবীর সন্ধান মেলেনি। বনকর্মীদের ধারণা, নদীতে জোয়ার এলে ভেসে উঠতে পারে দেহ। এদিকে এই ঘটনায় ওই মৎস্যজীবির পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া।

[আরও পড়ুন: যৌন নিগ্রহের হাত থেকে মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত মা, তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুলে বিক্ষোভ বিজেপির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ