Advertisement
Advertisement

Breaking News

সাইবার ক্রাইম

কল সেন্টারের চাকরি ছেড়ে এটিএম হ্যাকিং, সাইবার সেলের জালে ১২ জন

টাকা হাতিয়ে তারাই হয়ে গিয়েছিল বাড়ি, গাড়ি, সম্পত্তির মালিক।

a huge team of atm hacker caught from asansol area
Published by: Souptik Banerjee
  • Posted:November 14, 2019 8:17 pm
  • Updated:November 14, 2019 8:17 pm

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: ছিল কল সেন্টারের কর্মী। পেশা বদলে তারাই হয়ে গিয়েছিল এটিএম হ্যাকার। সেই হ্যাকাররা দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল আসানসোল। একাধিক ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছিল টাকা। পেশা বদলে এটিএম হ্যাকার হয়ে যাওয়া পুরো দলটিকে ধরে ফেলল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ।

পশ্চিমবঙ্গের হ্যাকারদের সঙ্গে হরিয়ানা, গুরুগ্রাম, দিল্লি ও বিহারের হ্যাকররা মিলে চালাচ্ছিল সাইবার অপরাধ। অসাধু ব্যাংকের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জোগাড় করা হচ্ছিল গ্রাহকদের তথ্য। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে কল সেন্টারের চাকরি ছেড়ে যুবক-যুবতীরা যোগ দিয়েছিল এই সাইবার চক্রে। টাকা হাতিয়ে করে ফেলেছিলেন বাড়ি, গাড়ি এবং সম্পত্তি। খবর পেয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের আন্তঃরাজ্য সাইবার শাখা তদন্তে নামে। তারপরেই শুরু হয় তল্লাশি। জালে ধরা পড়ে ১২ জন এটিএম হ্যাকার। যাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি চার চাকার গাড়ি, দুটি বুলেট গাড়ি, ১৯ টি মোবাইল, ল্যাপটপ-সহ ১৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নগদ। ধৃতদের মধ্যে এক যুবতীও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সে কুলটির নিয়ামতপুরের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবতীই ‘লিংকম্যান’ হিসাবে কাজ করতো। জানা গিয়েছে, ধৃত যুবতীর নাম আরতি গুপ্তা।

Advertisement

[আরও পড়ুন : সৌদি আরবে কাজে গিয়ে বন্দি বীরভূমের যুবক, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মায়ের]

এছাড়াও দলে গুরুগ্রামের দুই ও পাটনার একজন বাসিন্দা ছিল। এই চার জনই দলের প্রধান বলে জানিয়েছেন এডিসিপি সেন্ট্রাল সায়ক দাস। বাকি ৮ জন দুর্গাপুরেরই বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল, টাকা, অত্যাধুনিক বাইক, চারচাকা গাড়ি, ল্যাপটপ, নকল সিমকার্ড ও এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এডিসিপি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি ধৃতরা পিএনবি ব্যাংকের গ্রাহকদের টার্গেট করত। গ্রাহকদের ফোনে ব্যাংক ম্যানেজারের নাম করে ফোন আসত। নানা কৌশলে গ্রাহকদের এটিএম কার্ডের পিন নম্বর ও সিভিভি নম্বর জেনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিত।’

Advertisement

ঘটনার পর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার সমস্ত স্কুলের শিক্ষকদের সচেতন করার কাজ শুরু হয়েছে। পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্র প্রকাশ সিং জানিয়েছেন, ‘সাইবার ক্রাইম রুখতে মানুষকে সচেতন করার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি কোনও মানুষ সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে সেই এলাকার থানায় অভিযোগ জানাতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে সেই অভিযোগ সাইবার ক্রাইম সেলের অফিসার খতিয়ে দেখবেন।’

উল্লেখ্য, গত ২৫অক্টোবর পুলিশ একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। তারপরেই এটিএম প্রতারণার আরও তিনটি অভিযোগ সাইবার সেলে জমা পড়ে। বিভিন্ন সূত্র ধরে পুলিশ অভিযান চালাতেই একে একে ধরা পড়ে অপরাধীরা। এডিসিপি জানান, এই চক্রে আরও কেউ জড়িত কিনা তা জানতে ধৃতদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশি হেফাজতে থাকা ৮ জন ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

[আরও পড়ুন : নৃশংস! মদ্যপের ব্লেডের ঘায়ে বাদ গেল কুকুরছানার পা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ