ছবি: প্রতীকী
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: গৃহস্থের বাড়িতে প্রতিদিন ব্যবহার হয়েছে প্রায় ৯৭ ইউনিট বিদ্যুৎ। আর তিন মাসে বিল ৮৮ হাজার টাকারও বেশি। এই ‘ভুতূড়ে’ কাণ্ডে অবাক গৃহকর্তা অর্থাৎ শহর পুরুলিয়ার দেশবন্ধু রোডের বাসিন্দা আইনজীবী স্বপনকুমার মজুমদার। এবিষয়ে স্টেশন সুপারিনটেনডেন্টকে অভিযোগ করে কাজ না হওয়ায় পুরুলিয়া (Purulia) আদালতে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নামে মামলা ঠুকলেন তিনি। মামলা করেছেন এই কোম্পানীর এই এলাকার ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার-সহ শহর দেশবন্ধু রোডের কার্যালয়ের স্টেশন সুপারিনটেনডেন্টের নামেও।
জানা গিয়েছে, গত ৩১ জুলাই ওই আইনজীবীর বাড়িতে মিটার রিডিংয়ের পর যে বিল দেওয়া হয় তাতে দেখা যায়, তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল মোট ৮৮,৬৩৬ টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে মোট ৯০৯৫ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে। কিন্তু অতীতে যে পরিবার ফি মাসে ১০ ইউনিট খরচ করত, একলাফে কী করে তা এত বাড়ল? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে চলতি মাসের ৪ তারিখ স্টেশন সুপারিনটেনডেন্টকে চিঠি লেখেন স্বপনবাবু। আরজি জানান, তাঁর মিটার খারাপ। তাই সেই মিটার পালটে দেওয়া হোক। এই বিল তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।
অভিযোগ, সেই চিঠির কোনও উত্তর বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি দেয়নি। সেই কারণেই আইনের পথে লড়াইে নামেন আইনজীবী। তাঁর কথায়, “আমার ৮৮ হাজার টাকা বিল আসতেই পারে না। খুব সাধারন ভাবে আমার বাড়িতে প্রতিদিন ১০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়। অথচ বিলে এসেছে ৯৭ ইউনিট! তাই আমি স্টেশন সুপারিনটেনডেন্টকে অতীতের বিদুৎ বিলের নথিপত্র-সহ বিষয়টি জানাই। মিটার বদলে দিতে বলি। কিন্তু তাদের তরফে কোনও হেলদোল না দেখায় আদালতে মামলা করতে বাধ্য হই।” প্রসঙ্গত, আগস্টের ১২ তারিখ স্বপনবাবুর বিল জমা দেওয়ার কথা ছিল। ফি মাসের কিস্তিতে ২৯ হাজারের বেশি টাকা দিতে হত। তবে গোটা ঘটনা শোনার পর এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন বলে জানান রিজিওনাল ম্যানেজার সন্দীপ সাহানা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.