সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বাকি পাঁচটা দিনের মতোই টাকাপয়সা নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়েছিল দম্পতির মধ্যে। পরিণতি হল মর্মান্তিক। স্বামীর হাতেই প্রাণ গেল স্ত্রীর। ঘটনাটি বর্ধমানের (Bardhaman) রায়নার। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হলে তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রায় ২৬ বছর আগে অভিযুক্ত জহিরুদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় আলেয়া বেগমের। ৪ মেয়ে রয়েছে ওই দম্পতির। কিন্তু আর্থিক স্বচ্ছলতা কোনওদিনই ছিল না তাঁদের। কোনওরকমে দিনগুজরান করতেন তাঁরা। এইভাবেই সংসার সামলিয়ে তিন মেয়ের বিয়েও দেন জহিরুদ্দিন। তবে স্বামীর মৃত্যু হয় বড় মেয়ে থাকেন জহিরুদ্দিন ও আলেয়ার কাছে। দিনমজুরির কাজ করে এখন ৪ জনের খাবার জোগাতে কার্যত হিমশিম দশা ওই প্রৌঢ়ের। স্বাভাবিকভাবেই এনিয়েই দম্পতির মধ্যে নিত্য অশান্তি হত। নানারকম আপত্তিকর মন্তব্যও করত আলেয়া। রবিবার রাতেও অশান্তি বাধে দম্পতির মধ্যে। দু-এক কথা থেকে চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায় বচসা। সেই সময়ই হাতের কাছে থাকা মুগুড় দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে জহিরুদ্দিন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
লোক জানাজানি হলে জেল অবধারিত, সেই কথা চিন্তা করে সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ছাড়ে অভিযুক্ত। চলে যায় বর্ধমান। কিন্তু খুন করার মতো মানসিকতা তো ছিল না তার, রাগের বশে ঘটিয়ে ফেলেছিল দুর্ঘটনা। ফলে এলাকা ছাড়ার পরও মন কিছুতেই সায় দিচ্ছিল না। তাই মঙ্গলবার এলাকায় ফিরে রায়না থানায় হাজির হয় অভিযুক্ত। জানায় গোটা ঘটনা। বিবরণ শুনে অবাক পুলিশ আধিকারিকরা। জহিরুদ্দিনের থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করতে তার বাড়িতে যান অফিসাররা। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। মেয়েদের চিন্তায় ব্যাকুল ধৃত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.