Advertisement
Advertisement

Breaking News

Murshidabad

মেলেনি পণ, বধূকে শ্বাসরোধ করে ঝুলিয়ে দিল শ্বশুড়বাড়ির লোক! থানায় বিক্ষোভ পরিবারের

মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতের স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

A man and his family Killed wife for not getting dowry

প্রতীকী ছবি।

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:April 9, 2024 7:20 pm
  • Updated:April 9, 2024 7:20 pm

সাবির জামান, লালবাগ: কলেজ পড়ুয়া এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। মৃতের নাম রোকসানা বিবি ওরফে পায়েল (২৫)।  অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছে মৃতের পরিবার। জিয়াগঞ্জ থানায় বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতের স্বামী মিসকাতুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে জিয়াগঞ্জ থানার মুকুন্দবাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার বাসিন্দা রোকসানা বিবির সঙ্গে বিয়ে হয় সাগরদীঘি থানার দস্তুরহাটের বাসিন্দা মিসকাতুল ইসলামের। বিয়ের পরে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন রোকসানা। জিয়াগঞ্জ শ্রীপৎ সিং কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে রহস্যমৃত্যু নদিয়ার তরুণীর, ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার দেহ, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ পরিবার]

মৃতের স্বামী কর্মসূত্রে বিদেশে থাকায় তিন বছরের কন্যা নিয়ে বাপের বাড়িতেই ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে স্বামী মিসকাতুল বাড়ি এলে শ্বশুরবাড়ি যান রোকসানা। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, রোকসানা স্বামীর কাছে যেতেই পণের দাবিতে তাঁর উপর অত্যাচার চালাতে থাকেন মিসকাতুল ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। মিসকাতুলের চাহিদা মেনে কদিন আগেই রোকসানার পরিবার নতুন আসবাবপত্র তাঁর বাড়িতে পৌঁছিয়েও দেন। তার পরেই আবার বায়না জোড়েন মিসকাতুল। দাবি করেন, বাইক কিনে দিতে হবে। ইদের পরে সেটাও কিনে দেওয়া হবে বলে জানায় রোকসানার পরিবার। তবে তার আগেই রোকসানাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রথমদফার ভোটের গাইডলাইন নাপসন্দ, নয়া রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের]

এই বিষয়ে মৃতের কাকা মুরসালিন শেখ বলেন, “পরিকল্পিতভাবে এই খুন করা হয়েছে। প্রথমে আমাদের ফোন করে জানানো হয় আপনাদের মেয়ে কীটনাশক খেয়েছে। চিকিৎসার জন্য বহরমপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অথচ পুলিশ ঝুলন্ত মৃতদেহ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে আজিমগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানিয়ে দেয়। আসলে ওঁকে শ্বাসরোধ করে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

পরিবারের আরও দাবি, মেয়ে একদিন আগেই ফোন করে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেরার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তাঁকে বাপের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন। মৃতের পিসি ফতেমা বিবি বলেন, “মাকে প্রাণে মারার ঘটনা দেখে ফেলে তিনবছরের কন্যা। তাই তাকে ঘরে আটকে রাখা হয়। পুলিশ ওকে জিজ্ঞেস করলে আসল রহস্য স্পষ্ট হবে।”  অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ