জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ভাগ্যের ফেরে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন বনগাঁর বাসিন্দা এক মেকানিক। তবে আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে ভয়ও। তাই ৬০ টাকার লটারির টিকিট কেটে কোটিপতি হওয়ার খবর পেয়েই থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর গাড়াপোতার এলাকার বাসিন্দা জ্যোতিগোপাল সরকার নামে ওই ব্যক্তি। ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় থাকেন পেশায় মাইকের মিস্ত্রি ওই ব্যক্তি। অভাব নিত্যসঙ্গী। তাই মাঝে মধ্যেই লটারির টিকিট কাটতেন জ্যোতি। কিন্তু ভাগ্য কখনই সদয় হত না। ফলে প্রায় নিয়মিত টিকিট কাটা সত্ত্বেও লাভ কিছুই হত না। বরং অভাবের সংসারের প্রচুর টাকা নষ্ট হত। এরই মধ্যে সোমবার রাতে ওই ব্যক্তির কয়েকজন বন্ধু তাঁকে লটারি কাটতে বলে। প্রথমে কিনবেন না বলে মনস্থির করলেও কিছুক্ষণ পর ৬০ টাকা দিয়ে টিকিট কিনে বাড়ি ফেরেন। তবে ঘুণাক্ষেরও তিনি বুঝতে পারেননি যে তাঁর জন্য এমন উপহার অপেক্ষা করে আছে। রাতে লটারি বিক্রেতা সটান হাজির হন জ্যোতির বাড়িতে। তিনিই জানান অর্থলাভের কথা। একাধিক বার টিকিট মেলানোর পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তিনি। আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরাও। কিন্তু কোটি টাকার মালিক হওয়া তো মুখের কথা নয়, আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে ভয়ও। তাই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মঙ্গলবার সকালে টিকিক ও বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে থানায় হাজির হন ওই জ্যোতি।
[আরও পড়ুন: নির্মীয়মাণ স্কুলবাড়িতে মাদ্রাসার বোর্ড, গোষ্ঠী সংঘর্ষে ধুন্ধুমার গোবরডাঙা]
জ্যোতি জানান, “পায়ের তলার থেকে মাটি সরে যাচ্ছিল। খবর পাওয়ার পরও বিশ্বাস করতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে। এখনও গোটা ঘটনাই স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিল।” তাঁর কথায়, বহু অভাবের মধ্যে দিয়ে জীবন কেটেছে। এই টাকা হাতে পেতেই সবার আগে ধার দেনা শোধ করবেন তিনি। ছেলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তার পড়াশোনায় যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই খাতে বরাদ্দ করবেন কিছু টাকা। বাকি টাকায় তৈরি করবেন মনের মতো একটা বাড়ি, আপাতত এমন চিন্তাভাবনা তাঁর।