অর্ক দে, বর্ধমান: আবাস যোজনায় তৈরি ঘর বিক্রির অভিযোগ। বিপাকে পড়লেন মেমারির বাসিন্দা। এই বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে জেলাশাসক ও ব্লক আধিকারিকের কাছে। প্রশাসনিক স্তরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। সরকারি সহায়তায় বাড়ি পেয়ে কীভাবে বিক্রি করে দেওয়া হল? সেটাই প্রশ্ন।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি (Memari) থানার দলুই বাজার ১ নম্বর পঞ্চায়েতের মামুদপুর এলাকার বাসিন্দা সনৎ হাজরা। ২০১৮ সালে আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। এই প্রকল্পের অধীনে বাড়ি তৈরির জন্য টাকা পান তিনি। ২০২১ সালে বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়। তারপর ২ বছর সেই বাড়িতে বসবাস করেন তাঁরা। গত সপ্তাহের বুধবার বাড়িটি স্থানীয় এক বাসিন্দা বাপ্পা ধারার কাছে তিনি বিক্রি করে দেন বলে জানা গিয়েছে। সরকারি প্রকল্পে পাওয়া বাড়ির মালিকানা কীভাবে হস্তান্তর করা হল তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে ব্লক আধিকারিক ও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন এক ব্যক্তি। সরকারি প্রকল্পে পাওয়া বাড়ি এইভাবে বিক্রি করা যায় না। এমনকী এই বাড়ি ব্যবসায়িক কারণেও ব্যবহার করা যায় না বলেই প্রশাসনিকস্তর থেকে জানানো হয়েছে। যদিও এর নির্দিষ্ট নিয়ম সম্পর্কে কেউই কিছু জানাতে পারেনি।
[আরও পড়ুন: ‘আর ভোটে দাঁড়াব না’, উপার্জনের লক্ষ্যে শাড়ির ব্যবসা শুরু তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের]
এই বিষয়ে সনৎ হাজরার মা সীমা হাজরা জানান, নিজেদের জায়গার উপর সরকারি প্রকল্পের বাড়ি তৈরি করেছিলাম। বাড়ির পাশেই স্বামী গোদাধর হাজরা বেঁচে থাকাকালীন নির্মল বাংলার আয়তায় শৌচালয় নির্মাণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে স্বামী মারা গেলে আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তাই বাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি।” এই বিষয়ে জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানান, ” অভিযোগের বিষয়ে এখনও কিছু জানা নেই। সরকারি নির্দেশিকার বিষয়েও খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।” মেমারি ১ ব্লকের বিডিও আলী মোহম্মদ ওয়ালি উল্লাহ জানান, এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সরকারি প্রকল্পের অধীনে বাড়ি তৈরি করে সেই বাড়ি বিক্রি করার নিয়ম নেই বলেই জানা আছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। কোনও রকম বেনিয়ম ধরা পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”