সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেস থেকে উদ্ধার হল মেধাবী ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। শনিবার সকালে মেসে থাকা অন্যান্য ছাত্ররা তাঁর দেহ দেখতে পান। কী কারণে আত্মঘাতী হল ওই ছাত্র, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বেলদা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের বাঁচান’, কাতর আর্তি আসানসোলের অর্ধাহারে মৃতপ্রায় পরিবারের]
প্রিয়দীপ নামে ওই ছাত্র পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারির বাসিন্দা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অঙ্কে পিএইচিডি করছিলেন প্রিয়দীপ। ছোট থেকে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন তিনি। শনিবার মেসে থাকা অন্যান্যরা দেখেন অনেক বেলা হয়ে গেলেও প্রিয়দীপকে দেখা যাচ্ছে না। মেসের একটি ঘরে ঢুকে তাঁরা দেখেন উপর থেকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন প্রিয়দীপ। অবাক হয়ে যান প্রত্যেকে। মেসমালিককেও খবর দেওয়া হয়। জানানো হয় বেলদা থানার পুলিশকেও।
[আরও পড়ুন: মাটির তলা থেকে উঁকি মারছে মহিলার হাত, সামনে এগিয়ে যেতেই হাড়হিম স্থানীয়দের]
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসেন প্রায় প্রত্যেকে। প্রিয়দীপের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু কী কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন প্রিয়দীপ, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পরিবারের দাবি, সামনেই পরীক্ষা প্রিয়দীপের। তাই প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। যাতে প্রস্তুতি নিতে কোনও সমস্যা না হয় তাই কেশিয়ারির বাড়ি ছেড়ে মেস ভাড়া নিয়ে থাকছিল প্রিয়দীপ। প্রতিদিন ফোনে পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। তবে কেন আত্মহত্যা করলেন প্রিয়দীপ, তা বুঝতে পারছেন না প্রিয়দীপের বাড়ির লোকজন। ঘটনার কিনারায় পুলিশ আপাতত প্রিয়দীপের কললিস্ট খতিয়ে দেখছে।