বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: ভরদুপুরে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের ব্রহ্মাতলায়। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই খুন করা হয়েছে ওই তৃণমূল কর্মীকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ মুখ বেঁধে ১০-১৫ জনের একটি দল শান্তিপুরের ব্রহ্মতলা এলাকায় ঢোকে। এলাকায় ঢুকেই শান্তনু মাহাতো নামে এক যুবককে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শান্তনু। এরপরই এলাকায় বোমাবাজি করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। নজরে পড়তেই স্থানীয়রা ওই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। পথেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: প্রসূতিকে মারধরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের মহিলা চিকিৎসক]
মৃতের পরিবারের দাবি, তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন শান্তনু। বরাবরই চেয়ারম্যানের গোষ্ঠীর সমর্থক ছিলেন তিনি। অভিযোগ, বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন ধরেই শান্তনুকে তাঁর দলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি শান্তনু। সেই কারণেই খুনের ছক বলেই দাবি মৃতের স্ত্রী ঝুম্পার। এবিষয়ে বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য জানান, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই। ব্যক্তিগত কারণে খুন হয়ে থাকতে পারে বলেই দাবি তাঁর। এমনকী ওই যুবক যে তৃণমূলের কর্মী তাও মানতে নারাজ বিধায়ক। তিনি সাফ জানিয়েছেন, তাঁর দলে কোনও দুষ্কৃতীর জায়গা হয় না। তাই কোনওভাবেই এই খুনের সঙ্গে তাঁর দলের কর্মীদের কোনও যোগ নেই। সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত তদন্তেরও দাবি জানান তিনি।