Advertisement
Advertisement
রায়গঞ্জ

নিত্য অশান্তির জের, রাগে সতীনের কান কামড়ে ছিঁড়ে নিল বধূ!

ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত।

A woman allegedly beaten up by sister in law in raiganj
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 8, 2020 9:46 am
  • Updated:February 8, 2020 9:46 am

শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: দুই সতীনের অশান্তির জের। তুমুল ঝগড়ার সময় স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীর কান কামড়ে ছিঁড়ে নিলেন প্রথমজন। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার শীতগ্রাম পঞ্চায়েতের নলপুকুর এলাকায়। ইতিমধ্য়েই অস্ত্রোপচার করে জুড়ে দেওয়া হয়েছে মহিলার কান। বর্তমানে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মহিলা। তবে অস্ত্রোপচার আদৌ সফল হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কিছু বলেননি চিকিৎসকরা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্তের বাপের বাড়ির সদস্যরা। তবে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত। তাঁর খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। 

হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শংকরপ্রসাদ দাস বলেন, “ছেঁড়া কান জুড়বে কি না এই মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব নয়। দু’দিন গেলে বোঝা যাবে অপারেশন কতটা সফল হয়েছে। রক্ত সংবহন ঠিক থাকলে কান জুড়বে।” জানা গিয়েছে, এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ দুই সতীন আসরেফা এবং হালিমা বিবির মধ্যে বচসা হাতাহাতিতে গড়ায়। আচমকা হালিমা বিবি আসরেফা বেগমের ডান কান কামড়ে ছিঁড়ে নেয়। এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ রক্ত ভেজা অবস্থায় আসরেফাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় বাড়ির লোকজন। সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার শুরু করে। ঘন্টা খানেকের চেষ্টায় ডুড়ে দেওয়া হয় কাটা কান।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্ক, জাপানের জাহাজে আক্রান্তদের সঙ্গে আটকে বাংলার যুবক]

বধূর স্বামী পেশায় গাড়ি চালক মইনুদ্দিন আলম বলেন, “কাজে গাড়ি নিয়ে মালদহ গিয়েছিলাম। ফোনে জানতে পারি প্রথম স্ত্রী ছোট বউয়ের কান কামড়ে ছিঁড়ে নিয়েছে। মাথা ফাটিয়েছে। অপারেশনের কথা শুনে রায়গঞ্জে ছুটে আসি।” স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মনজুর আলম জানিয়েছেন, পরিবারে দুই সতীনের ঝগড়া লেগেই থাকত। এদিন সেটা মারামারিতে চলে যায়। কিন্তু কান ছিঁড়ে নেবে সেটা কেউ ভাবেনি। রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেঁড়া কানটি স্যালাইনের জলে চুবিয়ে প্লাস্টিক বন্দি করা হয়েছিল। বধূর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে চিকিৎসক যা করেছে যথেষ্ট। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ছেঁড়া কানটি নিয়ম মেনে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে হাসপাতালে আনলে জুড়ে যাওয়া একশো শতাংশ সুনিশ্চিত ছিল। কিন্তু সেটা না হওয়ায় টেনশন রয়ে গেল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ছেলের দ্বিতীয় স্ত্রীকে মানতে নারাজ পরিবার, ধরনায় বসেই মুশকিল আসান নতুন বউয়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ