Advertisement
Advertisement
Gautam Deb

গান থামিয়ে বেহাল রাস্তা দেখে যান! গৌতম দেবকে খোঁচা এলাকার বাসিন্দার

বেজায় চটলেন গৌতম দেব।

A woman of siliguri attacks TMC's Gautam Deb | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 21, 2023 7:02 pm
  • Updated:March 21, 2023 7:05 pm

অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: কাজকর্ম সেরে সময় পেলেই রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা করেন মেয়র গৌতম দেব (Gautam Deb)। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তাকে গাইতে শোনা যায়। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অনুষ্ঠানেও তিনি সমবেত সঙ্গীতে গলা মিলিয়েছিলেন। কিন্তু এই গান করা নিয়েই খোঁচা খেতে হল তাকে। আর তাতেই বেজায় চটলেন গৌতম দেব।

দিন কয়েক আগে তিনি বাড়িতে গানচর্চা করছিলেন। সেই ভিডিও তার ফেসবুকে পেজে আপলোডও করেন। কিন্তু ওই ভিডিওতেই তাঁর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা কটূক্তি করেন। কমেন্টে স্মৃতিকণা ভট্টাচার্য নামক মহিলা লেখেন, “গানের চর্চা শেষ হলে একবার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এসে বেহাল রাস্তা দেখে যাবেন।” এর বিরোধিতা করেই মঙ্গলবার ওই মহিলার বাড়িতে হাজির হন স্বয়ং মেয়র গৌতম দেব।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বগটুই কাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে রাজনীতির রং, স্বজনহারাদের দলে টানতে মরিয়া TMC-BJP!]

শিলিগুড়ির ১৭নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহরের মেয়র গৌতম দেব। তিনি দিনভর কাজ করার পর নিজের বাড়িতেই রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা করেন। প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি সিডিও বের হয়েছে তাঁর। এখনও অবসর সময়ে তিনি গান করেন। সেই গান নিজের ফেসবুক পেজে আপলোডও করেন। এবারও তিনি তাই করেছিলেন। কিন্তু তাঁর ওই গানের ভিডিয়োতে স্মৃতিকনা ভট্টাচার্য নামে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা কমেন্ট করেছিলেন, “গান চর্চা শেষ হলে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এসে একটু রাস্তার বেহাল অবস্থা দেখে যান।” এতেই মেয়রের আপত্তি। বেহাল রাস্তা নিয়ে অভিযোগ থাকতেই পারে। কিন্তু তার মাঝে গান চর্চাকে কেন টেন আনা। তাই এদিন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিবরাম সরণীতে ওই মহিলার বাড়িতে হাজির হন মেয়র গৌতম দেব।

Advertisement

মেয়র ওই মহিলাকে বলেন, “আমি তো সারাদিন গান করি না। ভালবেসে গান করি, ওটা আমার ব্যক্তিগত জীবন। আপনার অভিযোগ থাকতেই পারে। কিন্তু গানচর্চাকে টেনে এনে লেখা উচিত হয়নি। আপনার রাস্তার টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে।” যদিও গৃহশিক্ষিকা স্মৃতিকণা ভট্টাচার্য মেয়রকে বলেন, “আমি যে মন্তব্য করেছি আমার মনে হয়েছে তা ঠিক। এখানে বহুদিন ধরে রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। কিন্তু আপনার দেখাই পাওয়া যায়না। ভোটের আগে একবার দেখেছিলাম আপনাকে। আজ আবার দেখলাম।” যদিও মেয়রের দাবি প্রতি সপ্তাহেই ওয়ার্ডে আসেন তিনি।

[আরও পড়ুন: আইফোন অর্ডার করে হাতে মিলল মাটির দলা ! মাথায় হাত কুলটির যুবকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ