ছবি: প্রতীকী।
শেখর চন্দ, আসানসোল: সম্পত্তি নিয়ে অশান্তির জের! মা ও সেজো ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করল যুবক। বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের (Asansol) হীরাপুরে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম আখতারি বেগম। তাঁর চার ছেলে। সকলেই আলাদা থাকতেন। ঘুরে ফিরে সব ছেলেদের কাছেই থাকতেন আখতারি বেগম। কিছুদিন আগে হীরাপুরের আজাদনগরে ছোট ছেলের কাছে যান তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই আখতারি বেগমের মেজো ছেলে মহম্মদ আনোয়ার আলম ছোট ভাইয়ের বাড়ি যায়। তার আগে ফোন করে সেজো ভাই মহম্মদ আফতাব আলমকেও সেখানে ডেকে নেয় সে। জানায়, সম্পত্তি সংক্রান্ত আলোচনা রয়েছে। দাদার ডাক পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই ছোট ভাইয়ের বাড়ি যান আফতাব। ভাবতেও পারেননি এই বিপদ অপেক্ষা করছে তাঁদের জন্য।
জানা গিয়েছে, এদিন আনোয়ার একটি প্যাকেটে চিপস, ফল নিয়ে ঢোকেন ছোট ভাইয়ের বাড়িতে। সেই প্যাকেটের ভিতরই ছিল ধারালো অস্ত্র। অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকেই প্রথমে মা আখতার বেগমে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে বাথরুমে আটকে দেয় আনোয়ার। অস্ত্র দেখিয়ে সেজো ভাইকে বন্ধ করে দেয় রান্নাঘরে। ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও তার সন্তানদের বন্ধ করে রাখে অন্য একটি ঘরে। এরপরই বাথরুমে জলে ডুবিয়ে মাকে খুন (Murder) করে আনোয়ার। গলার নলি কেটে দেয় সেজো ভাইয়ের। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন আফতাব। মা ও সেজো ভাইকে খুনের পর দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে সোজা হীরাপুর থানায় হাজির হয় অভিযুক্ত। সেখানে আত্মসমর্পণ করে সে।
বিষয়টি জানা মাত্রই ঘটনাস্থলে যান হীরাপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কী কারণে খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সম্পত্তি নিয়ে অশান্তির কারণে এই ঘটনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.