বিপ্লব দত্ত, নদিয়া: জামাইষষ্ঠী বলে কথা! ব্যাগ ভরতি উপহার নিয়ে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ব্যাগে ছিল আটটি নতুন শাড়ি। দাম হাজার সাতেক টাকার কম নয়। কিন্তু, ট্রেন থেকে নামার সময়ে ব্যাগের কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। আর তাতেই হুলস্থুল কাণ্ড রানাঘাট স্টেশনে। সেই ব্যাগকে ঘিরেই ছড়াল বোমাতঙ্ক! শেষপর্যন্ত উপযুক্ত প্রমাণ পেয়ে ব্যাগটি মালিককে ফিরিয়ে দিল রেল কর্তৃপক্ষ।
[জাত তুলে গালাগালির অভিযোগ, কম্যান্ডান্টের অত্যাচারে শয্যাশায়ী আরপিএফ ইনস্পেক্টর]
ওই ব্যক্তির নাম সমীর সরকার। তাঁর শ্বশুরবাড়ি রানাঘাটে। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে সোমবার বিকেলে একাই শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিল একটি ব্যাগ। শাশুড়ি, শ্যালকের স্ত্রী, শ্যালিকার জন্য কেনা দামী শাড়ি ছিল ব্যাগে। নির্দিষ্ট সময়েই রানাঘাটে স্টেশনে পৌঁছে যায় গেদে লোকাল। ট্রেন থেকে নেমেও পড়েন সমীরবাবু। কিন্তু, ব্যাগের কথা আর খেয়াল ছিল না। উপহার ভরতি ব্যাগটি রয়ে যায় ট্রেনের কামরাতেই। এদিকে যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ ট্রেনটি দাঁড়িয়ে ছিল রানাঘাট স্টেশনে। সিটের পাশে ব্যাগটি নজরে পড়ে কয়েকজন যাত্রীর। ততক্ষণে শ্বশুরবাড়ির পথে হাঁটা দিয়েছেন ব্যাগের মালিক। মালিকানাবিহীন ব্যাগটিকে ঘিরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রানাঘাট স্টেশনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আরপিএফ। ট্রেন থেকে নামানো হয় ব্যাগটিকে। কিন্তু, ব্যাগ খোলার পর চক্ষু চড়কগাছ আরপিএফ জওয়ানদের! বোমা বা অন্য কোনও বিস্ফোরক নয়, ব্যাগে রয়েছে আটটি নতুন শাড়ি! রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, শাড়িগুলির দাম হাজার সাতেক টাকা কম নয়। কিন্তু ব্যাগটি কার? ঘটনার কিছুক্ষণ পর রানাঘাট স্টেশনে আরপিএফ দপ্তরের হাজির হন সমীর সরকার। উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে ব্যাগটি ফেরত নিয়ে যান তিনি।
[তীব্র তাপপ্রবাহের জের, বাঁকুড়ায় ১০০ দিনের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু শ্রমিকের]