Advertisement
Advertisement
কাটমানি

কাটমানি কোপে রেজ্জাকপুত্র, অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে পালটা খুনের হুমকি অভিযুক্তের

মোস্তাকের বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

Abdur Razzak Molla son's now accuses TMC leaders
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:July 11, 2019 2:17 pm
  • Updated:July 11, 2019 2:17 pm

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তোলা দুই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে পালটা প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ আনলেন মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লার পুত্র মোস্তাক আহমেদ। মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে এলাকার তৃণমূল কর্মী তথা দুই প্রোমোটারের বিরুদ্ধে প্রাণনাশ-সহ একাধিক অভিযোগ করেছেন মোস্তাক।

[ আরও পড়ুন: মাঝসমুদ্রে মিরাকল! লাইফ জ্যাকেট-খাবার ছাড়া ৫দিন সাঁতরে বেঁচে ফিরলেন মৎস্যজীবী ]

Advertisement

সোমবার ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ দুই তৃণমূল কর্মী তথা প্রোমোটার লালবাবু মোল্লা (আলতু) ও মনিরুজ্জামান মোল্লা (পান্না) কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। ওই দুই তৃণমূল কর্মী মোস্তাকের বিরুদ্ধে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় ৫ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় পালটা মুস্তাক কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, আলতু ও পান্না তাঁর দলীয় কার্যালয়ে এসে প্রাণনাশের চেষ্টা করে। এমনকী তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে রক্ষা করেন। অভিযুক্ত ওই দুই তৃণমূল কর্মী তথা প্রোমোটার বদনাম করতে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া গল্প ফেঁদেছেন টাকা নেওয়ার।

Advertisement

মোস্তাক আরও দাবি করেন, তিনি ২০১৬ সালে তৃণমূলের দলীয় কোনও পদে ছিলেন না। রাজনীতি করার পাশাপাশি সামাজিক কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনওদিন কারও থেকে পাঁচ পয়সা নিইনি। আমার মিথ্যে বদনাম করতে ওরা থানায় টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছে। ২০১৮ সালে দলের টিকিটে জিতে জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হই।”

মোস্তাক পুলিশ কমিশনারকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ভাঙড় থানা এলাকায় বৈরামপুরে সাউথ সিটি প্রোজেক্টে দাদাগিরি, গুন্ডাগিরি, তোলাবাজি করার অপরাধে আলতু ও পান্না গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। শুধু তাই নয় কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় প্রচুর পরিমাণে জলাভূমি ভরাট করে বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন। এইসব বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করায় তাঁর বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে৷ 

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে লালবাবু মোল্লা (আলতু) বলেন, ‘‘কেউ আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করতেই পারে। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই বুঝতে পারবে, মোস্তাক টাকা নিয়েছে কি নেয়নি। তার সঙ্গে আমার একাধিকবার ফোনে কথা হয়েছে টাকা নিয়ে। তাছাড়া মোস্তাক বিভিন্ন সময় স্বীকারও করেছেন টাকা নেওয়ার কথা।”

[ আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে ফের ধস উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায়, সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ