Advertisement
Advertisement
ট্রলারডুবি

মাঝসমুদ্রে মিরাকল! লাইফ জ্যাকেট-খাবার ছাড়া ৫দিন সাঁতরে বেঁচে ফিরলেন মৎস্যজীবী

খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ থেকে দেশে ফেরানো হবে ওই মৎস্যজীবীকে।

Indian fisherman rescued five days after ship wreck
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:July 11, 2019 12:35 pm
  • Updated:July 11, 2019 12:35 pm

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার:  মাঝসমুদ্রে বিস্ময় কাণ্ড ঘটালেন এক মৎস্যজীবী৷ টানা পাঁচদিন ধরে জলে ভাসার পর বেঁচে ফিরলেন তিনি৷ বঙ্গোপসাগরের ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ দাস নামে ওই মৎস্যজীবী। বুধবার বিকেলে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের একটি পণ্যবাহী জাহাজ তাঁকে মাঝসমুদ্রে ভাসতে দেখেন। ওই ব্যক্তির থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই কাকদ্বীপ ফিশারম্যান সংগঠনে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ প্রশাসন। 

[আরও পড়ুন: হাতির তাণ্ডবে বাগান শ্রমিকের প্রাণহানি, ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি বাড়ি]

আবহাওয়া দপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের বিভিন্ন গ্রামের মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন৷ উদ্দেশ্য ছিল ইলিশ মাছ ধরে বেশি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা৷ বঙ্গোপসাগরের কেন্দুয়া দ্বীপের বেশ কয়েক কিলোমিটার পূর্বে ভারত-বাংলাদেশ জলসীমার কাছে আচমকাই সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়েন মৎস্যজীবীরা৷ এফবি দশভূজা, এফবি বাবাজি, এফবি জয় যোগীরাজ ও এফবি নয়ন নামে চারটি ট্রলার ডুবে যায়৷

Advertisement

ওই চারটি ট্রলারে থাকা ৬১ জন মৎস্যজীবী মাঝ সমুদ্রে ছটফট করতে থাকেন। আশপাশে থাকা অন্য কয়েকটি ট্রলার মৎস্যজীবীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে। এফবি বাবাজি ও এফবি জয় যোগীরাজ ট্রলারে থাকা মোট ৩০ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে অন্যান্য ট্রলারগুলি। নিখোঁজ হয়ে যায় এফবি নয়ন ও এফবি দশভূজা নামের আরও দু’টি ট্রলার। চারদিন কেটে গেলেও ২৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে ফের ধস উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায়, সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন]

অবশেষে বুধবার মেলে সুখবর৷ জানা যায়, ওপার বাংলাতেই রয়েছেন মৎস্যজীবীরা৷ সুস্থ হলেই ফিরবেন এদেশে। এরপর ওইদিন বিকেলেই উত্তাল সমুদ্রে এক ব্যক্তিকে ভাসতে দেখে একটি পণ্যবাহী জাহাজ। নাবিকরা মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে বাংলাদেশের হাসপাতালে ভরতি করে। জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ দাস নামে ওই ব্যক্তি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার নারায়ণপুরের বাসিন্দা। এরপরই বাংলাদেশের তরফে যোগাযোগ করা হয় কাকদ্বীপ ফিশারম্যান সংগঠনে। খবর পেয়ে রবীন্দ্রবাবুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি তাঁদের পরিবারের সদস্য। সুস্থ হলেই তাঁকে দেশে ফেরানো হবে বলে বাংলাদেশ সূত্রে খবর। কিন্তু লাইফ জ্যাকেট, খাবার ছাড়া কীভাবে ৫ দিন সমুদ্রে ভেসে থাকলেন ওই ব্যক্তি তা ভেবে বিস্মিত সকলেই৷ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ