রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: ফের হাতির হানায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট ব্লকের বীরপাড়ার শিশুঝুমরা এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে ফের ধস উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায়, সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন]
একে প্রবল বৃষ্টি, অন্যদিকে হাতির আতঙ্কে দিন কাটছে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট এলাকার বাসিন্দাদের। শেষ কয়েকদিনে একাধিকবার জলপাইগুড়ির দলগাঁও জঙ্গল থেকে লোকালয়ে হানা দিয়েছে দাঁতাল বাহিনী। যার জেরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাদারিহাটের প্রায় ২০টি বাড়ি। ঘরছাড়া হয়েছে বেশ কয়েকটি পরিবার।
এরপর বৃহ্স্পতিবার ভোর ৪টে নাগাদ ফের মাদারিহাটের বীরপাড়া ব্লকের শিশুঝুমরা এলাকার হানা দেয় হাতির দল। হামলা চালায় চা বাগানের শ্রমিক রাজু ওঁরাওয়ের উপর। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর চেষ্টা করলেও দাঁতালের হাত থেকে নিস্তার মেলেনি তাঁর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাজুর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও বনদপ্তরের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। বনদপ্তর সূত্রে খবর, নিয়মমাফিক মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। দাঁতালগুলিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করছে বনদপ্তরের আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: ছেলের অভিযোগ শুনে কলেজে গিয়ে ‘দাদাগিরি’ পঞ্চায়েত প্রধানের, ধুন্ধুমার পলাশীতে]
এই প্রথম নয়, ক্রমাগত উত্তরবঙ্গের জেলা ও জঙ্গলমহলে আক্রমণ চালাচ্ছে দাঁতাল বাহিনী। বিশেষজ্ঞদের দাবি, জঙ্গলে থাবা বসিয়েছে আমজনতা৷ গড়ে উঠছে কংক্রিটের ইমারত৷ সেই কারণেই খাবারের অনটনে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বন্যপ্রাণীরা। ফলে বারবারই দাঁতালের মুখে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। সব মিলিয়ে জঙ্গল সংকীর্ণ হয়ে আসায় বন্যপ্রাণীর হামলা ক্রমশই বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: তিন বছর ধরে স্কুলে রয়েছে প্রধান শিক্ষক, সেই পদেই ফের নিয়োগ করল এসএসসি]