Advertisement
Advertisement

Breaking News

two wives 'quarreled'

বাড়ি কার? স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পত্তির দখল নিয়ে ‘চুলোচুলি’ দুই স্ত্রীর

আইনত কে স্ত্রী, প্রমাণ চাইছে পুলিশ।

After death of husband, two wives 'quarreled' over possession of property | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:July 7, 2022 10:00 am
  • Updated:July 7, 2022 10:00 am

স্টাফ রিপোর্টার, কৃষ্ণনগর: মৃত্যুর পরেও যেন শান্তি নেই! বাড়ির দখল নিতে আচমকাই হাজির মৃত ব্যক্তির দু’জন স্ত্রী। দু’জনেই নিজেকে ‘স্ত্রী’ পরিচয় দিলেন। একজন আবার ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ পরিচয় দিয়ে ঘরের তালা ভেঙে থাকতেও শুরু করলেন। খবর গেল ‘প্রথম’ স্ত্রীয়ের কাছে। নিয়ে এলেন বিয়ের যাবতীয় ‘প্রমাণপত্র’ এবং মৃত পূর্ত দপ্তরের প্রাক্তন কর্মীর পেনশনের কাগজপত্রও। অবস্থা সামলাতে আসরে নামতে হল কাউন্সিলরকে। চলে এল পুলিশও। আইনত কে যোগ্য স্ত্রী, প্রমাণ চাইছে পুলিশ। আপাতত তালাবন্ধ সেই ঘর।

নদিয়ার (Nadia) চাকদহ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় পাঁচ কাঠা জমিতে একটি বাড়ির দখল নিয়েই যত কাণ্ড। জানা গিয়েছে, মৃত মনোজ কুমার বিশ্বাসের আসল বাড়ি চাকদহ (Chakdaha) থানার কামালপুরে। মদনপুরে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। দিনচারেক আগে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে ঘরের তালা ভেঙে অঞ্জু বিশ্বাস নামে এক মহিলা নিজেকে মনোজবাবুর দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করে ঘরে ঢুকে যান। সেখানেই থাকতে শুরু করেন। নজরে পড়ে প্রতিবেশীদের। খবর যায় স্থানীয় কাউন্সিলর মৌমিতা ভট্টাচার্যর কাছে। ইতিমধ্যে চায়না বিশ্বাস নামে এক মহিলা আসরে নামেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় পদত্যাগ চল্লিশ মন্ত্রীর, ‘বরিস হঠাও’ আন্দোলনে কি নির্বাচনের দিকে হাঁটছে ব্রিটেন?]

নিজেকে মনোজবাবুর স্ত্রী হিসাবে দাবি করে চায়নার বক্তব্য, “আমার স্বামী পিডাব্লুডিতে কর্মরত ছিলেন। ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে ৩ মে মারা যান। বর্তমানে আমি মদনপুরের বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে থাকি। চাকদহ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে আমার স্বামীর নামে পাঁচ কাঠা জমির উপরে একটি বাড়ি রয়েছে। পুরপ্রকল্পে তৈরি একটি পুরনো ঘর রয়েছে।” বিয়ের নথির জেরক্স কাউন্সিলরের কাছে জমা দিয়ে স্বামীর ঘরটি দখলমুক্ত করানোর আবেদন জানান।

Advertisement

সেই আবেদনের ভিত্তিতে কাউন্সিলর দাবিদার মহিলাকে বের করে তালা মেরে দেন। বুধবার সকালে অঞ্জু সেই তালা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করতে থাকেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন কাউন্সিলর। দীর্ঘক্ষণ বচসা চলাকালীন শেষপর্যন্ত ঘটনাস্থলে হাজির হয় চাকদহ থানার পুলিশ। যদিও নাছোড়বান্দা অঞ্জুর বক্তব্য, “আমার স্বামীর ঘরে আমি থাকব তাতে কেউ আমাকে বাধা দিতে পারবে না।” পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য তাঁকে স্পষ্ট জানানো হয়, “ঘরে তালা লাগানোই থাকবে। বিয়ের প্রমাণপত্র জোগাড় করে কোর্টের নির্দেশ নিয়ে এলে তবেই ওই ঘরে থাকার অধিকার মিলবে।”

[আরও পড়ুন: পরিজন বনাম পরিচারিকা, আইনি টানাপোড়েনে মর্গেই ২ বছর বন্দি দেহ]

কাউন্সিলর মৌমিতা ভট্টাচার্য জানান, “চায়না বিশ্বাস মনোজবাবুর স্ত্রী হিসাবে দাবি করে বিয়ের প্রমাণপত্রের জেরক্স ও মনোজবাবুর পেনশনের কাগজপত্রও জমা দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও অঞ্জু বিশ্বাস দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হিসেবে দাবি করে ঘরের দখল নিয়েছিলেন। আমি তাঁদের ঘর থেকে বার করে ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়েছি। অথচ কাউকে না বলে ওই মহিলা বুধবার সকালে সেই তালা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছিলেন। বারণ করা হলে তিনি বিভিন্ন রকম অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। তিনি বলতে থাকেন, তিনি কাউকে মানেন না। বাধ্য হয়ে পুলিশ ডাকতে হয়।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ