Advertisement
Advertisement
Boris Johnson

২৪ ঘণ্টায় পদত্যাগ চল্লিশ মন্ত্রীর, ‘বরিস হঠাও’ আন্দোলনে কি নির্বাচনের দিকে হাঁটছে ব্রিটেন?

সরকার বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

UK PM Boris Johnson faces wave of resignation | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 7, 2022 9:32 am
  • Updated:July 7, 2022 9:32 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটিশ রাজনীতিতে তুঙ্গে ডামাডোল। গত চব্বিশ ঘণ্টায় পদত্যাগ করলেন চল্লিশ জন মন্ত্রী। দলের অন্দরে এহেন বিদ্রোহের জেরে সরকার বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এবার কি নির্বাচনের দিকে হাঁটছে ব্রিটেন?

সম্প্রতি ক্রিস পিনচার ইস্যুতে দলের অন্দরেই বেনজির বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বরিস। পরিস্থিতি জটিল করে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে ইস্তফা দেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদ ও অর্থ দপ্তরের প্রধান ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তারপর থেকে যেন পদত্যাগের হিড়িক পড়ে গিয়েছে বরিসের মন্ত্রিসভায়। এপর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন চল্লিশ জন মন্ত্রী। সরকার বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই অবস্থা চললে সরকার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। ফলে সাধারণ নির্বাচন ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘কাফের’ আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বে আগ্রহী তালিবান! জল্পনা উসকে বার্তা আখুন্দজাদার]

এদিকে, কিছুতেই প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়তে রাজি নন বরিস জনসন (Boris Johnson)। বুধবার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে তাঁকে যে তীব্র প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হতে হয়, সেখানে তিনি বলেছেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে জনগণ তাকে বিপুল সমঠন দিয়েছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যেতে চান। বলে রাখা ভাল, মাত্র মাসখানেক আগেই কনজারভেটিভ পার্টিতে বরিস জনসনের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। তবে দলের পার্লামেন্টারি পার্টির ভোটাভুটিতে তিনি সে যাত্রায় টিকে যান। কিন্তু এবার যেভাবে একের পর এক পদত্যাগ শুরু হয়েছে, তাতে দলের মধ্যে তাঁর প্রতি অনুগত অনেককেই পদত্যাগ করতে দেখা যাচ্ছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হন বরিস জনসন । কিন্তু গত দু’বছর ধরেই তিনি একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে দলের মধ্যে অনেকের আস্থা হারিয়েছেন। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা তিনি খেয়েছেন ক্রিস পিনচার ইস্যুতে। ২০১৯ সালে ক্রিস পিনচার (Chris Pincher) নামে এক বর্ষীয়ান রাজনীতিককে মন্ত্রিসভায় এনেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারি-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল সেসময়। এমন একজনকে কেন প্রশাসনে আনা হল, তার জবাবে জনসন কার্যত দায়সারাভাবেই জানিয়েছিলেন, পিনচার সম্পর্কে এসব তথ্য তাঁর কাছে ছিল না। কিন্তু পরে সরকারি এক মুখপাত্রই জানান যে প্রধানমন্ত্রী যা বলছেন, তা অসত্য। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই ঋষি সুনক এবং সাজিদ জাভিদ মতপ্রকাশ করেন, পিনচার ইস্যুতে সঠিক ভূমিকা পালন করেনি জনসন সরকার।

[আরও পড়ুন: কেন দেখানো হল ‘কালী’? ভারতীয় দূতাবাসের চাপের মুখে ক্ষমা চাইল কানাডার মিউজিয়াম]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ