Advertisement
Advertisement
Nadia Suicide

পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যের ক্যানসার, সংসারের কী হবে? আশঙ্কায় আত্মঘাতী মা-ছেলে

ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কল্যাণীতে।

After Father's cancer detected Son and his Mother took their life in Nadia | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:September 13, 2022 8:42 pm
  • Updated:September 13, 2022 8:42 pm

বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যের ক্যানসার। এবার কী হবে? ভবিষ্যৎ বলে তো আর কিছুই থাকবে না। এই আশঙ্কায় আত্মঘাতী ৭০ বছরের ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তির স্ত্রী ও ছেলে। এমনই অভিযোগ উঠেছে নদিয়ার কল্যাণী বি- ব্লকের ১০/১ নম্বর বাড়িতে।

ক্যানসার আক্রান্ত ওই ব্যক্তির নাম বিশ্বনাথ মণ্ডল। মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রী মঞ্জু মণ্ডল (৬০) এবং ছেলে শুভদীপ মণ্ডলের (৩৪)। বিশ্বনাথবাবুর পরিবার সূত্রে ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, বিশ্বনাথ মণ্ডল কল্যাণীর একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। কয়েক বছর আগেই অবসর নেন। স্ত্রী মঞ্জু ও একমাত্র ছেলে শুভদীপকে নিয়ে তাঁর সুখের সংসার ছিল। কল্যাণীর বি-ব্লকের মেন রাস্তার পাশেই অনেকটা জায়গা নিয়ে তাঁদের বড় বাড়ি। যদিও বিশ্বনাথবাবুর ছেলে শুভদীপ বিশেষ কোন কাজকর্ম করতেন না। ফলে মঞ্জুদেবী এবং তাঁর ছেলে সম্পূর্ণভাবে বিশ্বনাথবাবুর পেনশনের ওপরেই নির্ভরশীল ছিলেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লাইনের কাজে তিনদিন বাতিল হাওড়া-বর্ধমান লাইনের বহু ট্রেন, জেনে নিন বিস্তারিত]

অভিযোগ, সম্প্রতি বিশ্বনাথ মণ্ডলের কোলন ক্যান্সার ধরা পড়ে। তাঁর চিকিৎসার জন্য একটা বড় অঙ্কের টাকা বেরিয়ে যাচ্ছিল। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন মঞ্জুদেবী এবং তাঁর ছেলে। যদিও তা নিয়ে পারিবারিক কোন অশান্তির খবর কিন্তু প্রতিবেশীরা জানেন না।

Advertisement

কল্যাণী পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিবেদিতা মুখোপাধ্যায় জানান, বিশ্বনাথবাবুর পেনশনের ওপরে ওই পরিবার যেহেতু নির্ভরশীল ছিল, তাই তাঁর কোলন ক্যান্সার ধরা পড়ার পর সম্ভবত আগামী দিনে মা ও ছেলে কীভাবে বাঁচবেন তা নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন। সেই কারণেই বোধহয় তাঁরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। এর জেরেই মঞ্জুদেবী ও শুভদীপ আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান করছেন কাউন্সিলর।

পুলিশ জেনেছে, এদিন সকাল দশটার আগেই বিশ্বনাথ মণ্ডল ব্যাংকে কিছু কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বাড়িতে তখন ছিলেন মঞ্জুদেবী এবং শুভদীপ। বাড়ির বারান্দায় একই দড়িতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দু’জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিশ্বনাথবাবু বাড়িতে ফিরে সেই দৃশ্য দেখতে পান। প্রতিবেশীদের চিৎকার করে ডাকেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কল্যাণী থানার পুলিশ। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। একইসঙ্গে স্ত্রী ও একমাত্র ছেলেকে হরিয়ে শোকবিহ্বল সত্তর বছরের বৃদ্ধ। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।

[আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: অষ্ঠমীতেও হয় পাঁঠা বলি, ভোগে থাকে মাংস, জানেন জঙ্গিপুরের নায়েব বাড়ির এই প্রথার ইতিহাস?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ