সৌরভ মাজি, বর্ধমান: খড়গপুর আইআইটি’র সহায়তা নিয়েও রক্ষা করা গেল না। শক্তিগড়ের বিশাল ল্যাংচা বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধের পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) স্বপ্নের প্রকল্প ‘মিষ্টি হাব’ (Mishti Hub)। বর্ধমানের উল্লাস মোড় সংলগ্ন ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের মিষ্টি হাবে দোকানপাট অবশ্য কয়েকমাস ধরেই বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এবার অফিসিয়ালি তা বন্ধ হতে চলেছে। তবে এটা বন্ধ হলেও অন্যত্র তা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের। জেলা শাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছেন, বিকল্প জায়গার সন্ধান চলছে।
২০১৮ সালের এপ্রিলে আসানসোল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেছিলেন বর্ধমানের মিষ্টি হাবে। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতে ধুঁকতে শুরু করে এই প্রকল্প। মূলত বিপণনে মার খেতে শুরু করে মিষ্টি হাব। বিক্রি বাটা না হওয়ায় ঝাঁপ বন্ধ করতে থাকেন একের পর এক দোকানদার। প্রশাসনের তরফে মিষ্টি হাবকে বাঁচিয়ে রাখতে কসরত কম করা হয়নি। অর্থ ব্যয়ও করা হয়েছে প্রচুর। শেষ পর্যন্ত খড়গপুর আইআইটি’র বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেয় পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: বাজারে আসছে ‘ভাইটালিটি সন্দেশ’, ২৫ টাকায় সারবে একুশ অসুখ! দাবি প্রস্তুতকারকদের]
গত বছর জেলা শাসক হিসেবে দায়িত্বভার নেওয়ার পর বিজয় ভারতী খড়গপুর আইআইটি’র বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছিলেন কীভাবে মিষ্টি হাবকে লাভজনক রূপ দেওয়া যায়। কিন্তু তাতেও মিষ্টি হাবের ভবিষ্যর উজ্জ্বল করা যায়নি। তাই সেটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এক আধিকারিক জানান, চেষ্টার কোনও ত্রুটি ছিল না। কিন্তু শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকান যেভাবে গড়ে উঠেছে এবং সেখানকার বাজার যেভাবে জমজমাট তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকতে পারছিল না মিষ্টি হাব। জাতীয় সড়ক ধরে চলাচলকারী সব গাড়িই শক্তিগড়ে একবার করে স্টপেজ দিচ্ছিল ল্যাংচার স্বাদ নিতে। ফলে মিষ্টি হাবে সেইভাবে খরিদ্দারই জুটছিল না। তাই এবার নতুন মিষ্টি হাব শক্তিগড়ে করা যায় কি না তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে।