দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: সোমবার দুপুরে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়ল শ্রীরামপুরের ভট্টাচার্য বাগান রোড। থমথমে পাড়ায় এখন শোকের ছায়া৷ সোমবার দুপুরেই পাড়ায় নিয়ে আসা হয় মৃত তরুণ ক্রিকেটার দেবব্রত পালের নিথর দেহ৷ তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান এলাকার মানুষজন৷ ভিড় উপচে পড়ে বাড়ির সামনে৷
[আকাশপথে নবদ্বীপের চৈতন্য মহাপ্রভুর পাদুকা পৌঁছল বাংলাদেশে]
কলকাতার মাঠে অনুশীলনের সময় রবিবার দুপুরে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় দেবব্রতর। ময়নাতদন্তের পর সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এই তরুণ ক্রিকেটারের দেহ৷ সন্তান হারানোর কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত ক্রিকেটারের বাবা দীপক পাল, মা ও দিদি৷ তাঁদের সামাল দেওয়া কার্যত মুশকিল হয়ে পড়ে৷ সকলেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন৷ কথা বলার মতো অবস্থায় থাকেন না কেউ৷ একটা বজ্রাঘাতই যেন পরিবারের সকলের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছে।
[প্রতিশ্রুতি মতো শ্রেণিকক্ষে নেই পাখা, স্কুলে ভাঙুচর চালালো পড়ুয়ারা]
জন্ম থেকে যাঁকে বড় হয়ে উঠতে দেখেছে, সেই দেবব্রতর অকালমৃত্যু যেন মেনে নিতেই পারছেন না প্রতিবেশীরাও৷ তাঁদের পাশের বাড়িতে থাকেন সন্ধ্যা দেবী৷ তিনি জানান, দুই ভাই-বোনে মাঝে মধ্যে খুনসুঁটি করত দেখে খুব ভাল লাগত। দিদি কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি পেয়ে শিলিগুড়ি চলে যায়। এক মাস হল কলকাতার ক্লাবে ক্রিকেট খেলার জন্য ভরতি হয় দেবব্রত। রীতিমতো ক্রিকেট পাগল ছিল। ছাদের উপর ক্রিকেট খেলত। আর প্রায়শই ছাদ থেকে বল পাঁচিল টপকে বাড়িতে পড়লে মুখ কাচুমাচু করে বলত কাকিমা বলটা দাও। তবে কোনওদিনই বিরক্ত বোধ করেনি সন্ধ্যা দেবী৷ আজ তাঁর চোখেও জল যেন বাঁধ মানছে না৷ দুঃখের সঙ্গে তিনি জানান, আর বলও পড়বে না, আর কাকিমা বলেও কেউ ডাকবেও না। ক্রিকেট ছাড়াও অসম্ভব ভাল তবলা বাজাত সে। এমনই বলছেন এলাকার মানুষরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.