Advertisement
Advertisement

Breaking News

পঞ্চায়েত অফিসার

প্রাথমিক শিক্ষকদের পর এবার বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সরব পঞ্চায়েত অফিসাররাও

‘হোয়াটসঅ্যাপে আসা নির্দেশ মানব না’, সরকারকে বার্তা পঞ্চায়েত অফিসারদের সংগঠনের৷

After primary teachers now Panchayat officers too seek pay hike
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 30, 2019 4:51 pm
  • Updated:July 30, 2019 4:52 pm

গৌতম ব্রহ্ম: কিছুদিন আগেই আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের বেতন বাড়িয়ে নিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। এবার বেতন বাড়ানোর দাবি তুললেন পঞ্চায়েতের অফিসাররা। হুমকি দিলেন সরকারি কাজে হোয়াটসঅ্যাপ বর্জনের। যা নিয়ে রীতিমতো সাড়া পড়েছে সরকারি কর্মী ও অফিসারদের মধ্যে।

[ আরও পড়ন: পায়ে ধরেছে পচন, অস্ত্রোপচারে নারাজ রোগীর পরিবারকে চিঠি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ]

Advertisement

শনিবার মৌলালি যুবকেন্দ্রে ‘পশ্চিমবঙ্গ গ্রাম পঞ্চায়েত এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই হুঁশিয়ারি শোনা গেল। সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রায় ২৫০ জন এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট। তাঁদের অভিযোগ, ন্যূনতম যোগ্যতামান ও পদমর্যাদা বেশি হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা অধস্তন ‘নির্মাণ সহায়ক’-দের থেকে কম বেতন পাচ্ছেন। এটা অবৈজ্ঞানিক, হতাশাজনকও। কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস পোদ্দার জানান, “আমরা আর হোয়াটসঅ্যাপকে মান্যতা দেব না। হয় লিখিত অর্ডার করা হোক, অথবা ই-মেলে নির্দেশ দেওয়া হোক। যাতে পরবর্তীতে আমরা বিপদে না পড়ি।”

Advertisement

বিশ্বজিৎবাবুর বক্তব্য, “ডিএম থেকে বিডিও, কেউই কিন্তু অর্ডারের বাইরে গিয়ে কোনও কাজ করেন না। অনেক সময় বিডিওরা মনগড়া অর্ডার করেন। সহায়ককে এক্সিকিউটিভের চার্জ দিয়ে দেন। হাতে লেখা চিঠি বা ই-মেল থাকলে আমাদের ‘কাউন্টার’ করার জায়গা থাকবে। হোয়াটসঅ্যাপের কিন্তু কোনও মান্যতা নেই।” ফলে তাঁদের সাফ কথা, হোয়াটসঅ্যাপে আসা নির্দেশ আর মানবেন না। মান্যতা দেওয়া হবে শুধু ই-মেলে আসা ‘অর্ডার’ বা ‘নোটিস’-কে। সরকারি কাজে তাঁরা আর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করবেন না। সমস্ত ‘সরকারি গ্রুপ’ থেকে ‘গণ-এক্সিট’ করবেন।

[ আরও পড়ন: কচ্ছপ পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার বিজেপি কাউন্সিরের ছেলে]

সদস্যদের যুক্তি, হোয়াটসঅ্যাপে প্রচুর পোস্ট হয়ে গেলে ডিলিট করে দিতে হয়। কখনও নিজে থেকেই ডিলিট হয়ে যায় পোস্ট। অনুষ্ঠানে একটা নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই দিন থেকে এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্টান্টরা আর হোয়াটসঅ্যাপে কোনও অর্ডার গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন বিশ্বজিৎবাবুরা। তাঁদের মতে, হোয়াটসঅ্যাপের অনেক সুবিধা আছে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু রেকর্ড রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। তাছাড়া ব্যক্তিগত জীবনও উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের হানাদারি হয়। ছুটির দিনেও অনেক সময় হোয়াটসঅ্যাপে আসা নির্দেশ মেনে কাজ করতে হয়। অনেকেই জানিয়েছেন, অফিসারদের হুমকি সংক্রামক হয়ে অন্য দপ্তরের কর্মীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়বে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ