Advertisement
Advertisement

মিষ্টি হাবের পর ব্র্যান্ডেড সংস্থার খাবারের আউটলেট তৈরির ভাবনা প্রশাসনের

লক্ষ্মীলাভ বেশি হওয়ার আশা ব্যবসায়ীদের৷

After the sweet hub, the idea of ​​creating food outlets for branded companies
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 31, 2018 8:17 pm
  • Updated:July 31, 2018 8:17 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার বিখ্যাত ল্যাংচা, সীতাভোগ-মিহিদানা, পান্তুয়া-সহ অন্যান্য মিষ্টান্নর বিপণনের জন্যই মিষ্টি হাব গড়া হয়েছিল৷ তবে মিষ্টি হাবের দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্র্যান্ডেড সংস্থার খাবারের আউটলেট, কফিশপ বা কনফেকশনারির স্টল গড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ডেড সংস্থার ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকলে তবেই ঘর মিলবে এখানে।

[হনুমানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গ্রাম, চাঁদা তুলে শ্রাদ্ধ-শান্তির আয়োজন]

বর্ধমান মিষ্টি হাবের দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর বিলির প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। দ্বিতীয় পর্যায়ে এখানে ১৫টি দোকানঘর বিলি করবে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি, প্রথম পর্যায়ের চালু না থাকা দোকানগুলিও বিলি করা হতে পারে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে। জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব কিছুদিন আগে দ্বিতীয় পর্যায়ের দোকানঘর বিলির জন্য আগ্রহপত্র (এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট) আহ্বান করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন মাপের ঘর রয়েছে। তার মধ্যে ১৬০ বর্গফুটের ৫টি, ৮৪ বর্গফুটের ১টি, ৮৩ বর্গফুটের ৩টি, ১১৪ বর্গফুটের ১টি, ১৪৩ বর্গফুটের ৪টি ও ১৪১ বর্গফুটের ১টি ঘর রয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের। নিচের তলার প্রথম পর্যায়ে গড়া ঘরগুলির কিছু বণ্টন করা হতে পারে বলে ওই আগ্রহপত্রে উল্লেখ করেছেন জেলাশাসক।

Advertisement

[ফের ওঝার ঝাড়ফুঁকে মৃত্যু সাপে কামড় খাওয়া কিশোরীর]

গত বছর এপ্রিলে আসানসোলে পশ্চিম বর্ধমান জেলা গঠনের কর্মসূচির অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এই মিষ্টি হাবের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম পর্যায়ে শুধুমাত্র জেলার বিখ্যাত মিষ্টির দোকান করার জন্যই ঘর বিলি করেছিল জেলা প্রশাসন। রাজ্য সরকার প্রথমে ঠিক করেছিল ল্যাংচা হাব গড়বে। পরবর্তীকালে ঠিক হয় মিষ্টি হাব হবে। ল্যাংচা, সীতাভোগ-মিহিদানা, পান্তুয়া-সহ অন্যান্য প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান করার জন্যই ১৫টি ঘর বিলি করা হয়েছিল। কিন্তু বছর ঘুরতেই অধিকাংশ দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে সেখানে মাত্র দুটি দোকানঘর চালু রয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হাব গড়ে উঠলেও সেভাবে বিক্রিবাটাই হচ্ছে না। দিনে ১০০ টাকারও মিষ্টান্ন বিক্রি হয় না বলে দাবি করেছেন দোকানীদের।

Advertisement

[রেশন কার্ডে পদবি ভুলে জুটছে না খাবার, অনাহারে দিন কাটছে বৃদ্ধার]

সেই কারণেই দ্বিতীয় পর্যায়ে সতর্কতা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য আনতে ব্র্যান্ডেড খাবারের আউটলেট, কফিশপ ও ব্র্যান্ডেড কনফেকশনারির আউটলেট খোলার ব্যাপারে দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুমোদন দিতে চাইছে প্রশাসন। এক ছাদের তলায় ল্যাংচা, সীতাভোগ, মিহিদানার পাশাপাশি কফিশপ বা ব্র্যান্ডেড সংস্থার খাবারের আউটলেট থাকলে সেখানে ভিড় বাড়বে। ফলে দোকানঘর নেওয়া ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। বিক্রি বাড়বে। সেই কথা ভেবেই দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘর বিলিতে ব্র্যান্ডেড সংস্থার ফ্র্যাঞ্চাইজিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন।

ছবি: মুকুলেসুর রহমান

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ