সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অমিতাভ মালিক হত্যাকাণ্ডে প্রথম চার্জশিট সিআইডির। তবে আশ্চর্যজনকভাবে চার্জশিটে নাম নেই মূল অভিযুক্ত বিমল গুরুংয়ের। তবে পুলিশের হেপাজতে থাকা চার গুরুং ঘনিষ্ঠর নাম রয়েছে তাতে।
[বেনজির, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পার্ট ওয়ানে অর্ধেকই ফেল]
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি আদালতে ঘটনার ৮৮ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি। গত ১৩ অক্টোবর সিরুবাড়িতে গুরুংকে ধরতে অভিযানে নামে দার্জিলিং জেলা পুলিশ। অভিযোগ তদানীন্তন মোর্চা সভাপতি গুরুংয়ের অ্যাকশন স্কোয়াডের গুলিতে মারা যান তরুণ পুলিশ অফিসার। এরপর দার্জিলিং সদর থানায় প্রথম মামলা রুজু হয়। ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। দ্রুত ধরা পড়ে গুরুং ঘনিষ্ঠ চারজন। তারা হল শ্যাম কামি, মহেন্দ্র কামি, দেওয়াজ লেপচা এবং সুরজ প্রধান। এদের পাশাপাশি বিমল গুরুং ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী প্রকাশ গুরুংয়ের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন-সহ একাধিক আইনে মামলায় রুজু হয়েছে। এরপরও তাদের নাম চার্জশিটে না থাকায় কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তবে আপাতত নাম না থাকলেও গুরুংকে প্যাঁচে ফেলতে তদন্তকারীরা যে এগোচ্ছেন তা তাঁদের কথায় স্পষ্ট। এবিষয়ে সিআইডির স্পেশ্যাল সুপার অজয় প্রসাদ জানান, চারজনের নাম প্রথম চার্জশিট থাকলেও বিমল গুরুং ও প্রকাশ গুরুংয়ের নাম পরবর্তী সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে আনার প্রক্রিয়া চলছে। অর্থাৎ পরবর্তী চার্জশিটে দেশদ্রোহিতায় অভিযুক্ত গুরুংয়ের নাম থাকার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শিলিগুড়ি আদালতে সিআইডি জানিয়েছে গুরুং ওই দিন ঘটনাস্থলে ছিল। তবে ঘটনার সাক্ষী হিসাবে কাউকে পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে সিআইডি আদালতকে জানায় ভয়ে কেউ কিছু বলতে চায়নি।
[লাগাতার হিংসার জেরে অপসারিত বাসন্তীর ওসি, দায়িত্বে আইসি]
অমিতাভ মালিক হত্যাকাণ্ডের এফআইআরে বিমল গুরুংয়ের নাম রয়েছে। পাশাপাশি ইউএপিএ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তারপরও এই ঘটনায় গুরুংয়ের নাম না থাকায় তদন্তকারীদের ব্যর্থতা সামনে এসেছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। প্রথম দফায় বেরিয়ে গেলেও এখন সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট কী হয় তা নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.