BREAKING NEWS

১৫ চৈত্র  ১৪২৯  বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

ফিরছে আয়লার স্মৃতি, আমফানে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে মরিচঝাঁপি-কুমিরমারি দ্বীপ

Published by: Bishakha Pal |    Posted: May 20, 2020 11:32 am|    Updated: May 20, 2020 4:14 pm

Amphan could wipe out Marichjhampi-Kumirmari Island

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: আয়লার স্মৃতি এখনও টাটকা। তার মধ্যেই আমফান যেভাবে ফুঁসছে, তাতে শিয়রে শমন দেখছে উপকূলবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা। চিন্তার ফাঁজ বনবিভাগের কপালেও। কারণ আমফানের ফলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি ও কুমিরমারি দ্বীপ। আয়লার সময় সেই একই ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু তারপর ধীরে ধীরে আবার জেগে উঠেছে দ্বীপগুলি। এবার আয়লা পরবর্তী সময়ের মতো জলের তলায় তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এগুলির।

এই এলাকায় রয়েছে রায়মঙ্গল নদী। আশঙ্কা, আমফানের ফলে নদীতে যদি প্রবল জলচ্ছ্বাস শুরু হলে জল উঠে আসবে স্থলভাগে। ফলে জঙ্গল থেকে বন্য পশুরা নদীর সঙ্গে ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা। এমনকী স্থলভাগের খোঁজে তাদের লোকালয়ে ঢুকে পড়াও বিচিত্র নয়। ফলে আতঙ্কে প্রহর গুণছেন সাধারণ মানুষ। যদিও এলাকা থেকে অনেক মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওযার হয়েছে। কিন্তু তার সংখ্যা অত্যন্ত অল্প। মরিচঝাঁপি দ্বীপের ঝিলা ফরেস অফিসে এই মুহূর্তে তৎপরতা তুঙ্গে। এছাড়া এই অঞ্চল থেকে আধ ঘণ্টার দূরত্বে বাংলাদেশ। সাইক্লোনে সীমানা মুছে ওপারে বাসিন্দা এপারে বা এপারের বাসিন্দা ওপারে যাওয়ার সম্ভাবনা যে নেই তা নয়। তাই বিএসএফের উদ্ধারকারী দল রয়েছে।

[ আরও পড়ুন: আছড়ে পড়তে চলেছে সাইক্লোন আমফান, বিভিন্ন শাখায় চলবে না শ্রমিক ট্রেন ]

সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকাতে শুরু হয়েছে ব্যাপক ঝড় বৃষ্টি। জেলা প্রশাসনের পরিসংখ্যান বলছে জেলা সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে সাগরে, সেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ৮৫ মিলিমিটার। যত বৃষ্টি হচ্ছে ততই ভাঙছে নদী বাঁধ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গাতে নদী বাঁধের ধস নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’লক্ষ মানুষকে বিভিন্ন এলাকা থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। আরও বহু মানুষকে সরানোর পরিকল্পনা শুরু করেছে প্রশাসন। দুপুরে রান্না করা খাওয়া থেকে পানীয় জল এমনকী বেবি ফুডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বিভিন্ন এলাকাতে। প্রতিটা মুহূর্তে কন্ট্রোলরুম থেকে খবর নেওয়া হচ্ছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। জেলাশাসক আলিপুরের মেগা কন্ট্রোলরুম থেকে তদারকি করছেন জেলার অন্যান্য কন্ট্রোলরুমগুলিকে।

শুধু তাই নয় গোসবা ব্লকের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা তে প্রতিটিতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের মাতলা বিদ্যাধরী গোমর বুড়িগঙ্গা হাতানিয়া দোয়ানিয়া প্রভৃতি নদীতে ব্যাপক পরিমাণে জল বাড়তে শুরু করেছে। অমাবস্যার কোটালের আগে এই ব্যাপক জল স্ফিত সমস্যায় ফেলছে সুন্দরবনের মানুষকে। নোনা জল ঢুকে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে গেলে নতুন করে আবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়বেন বহু মানুষ। ধ্বংসের মুখে পড়বে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। সুন্দরবনের যে সমস্ত ফরেস্টের অফিস আছে প্রতিটিতে প্রকৃতির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে হেড অফিস থেকে।

[ আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতেও করোনার থাবা, প্রথম আক্রান্ত কলকাতা ফেরত ছাত্রী ]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে