নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: কিশোরীর আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বনগাঁর পাঁচপোতা এলাকায়। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, প্রেমিকের সঙ্গে অশান্তির কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ওই কিশোরী। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শোকের ছায়া এলাকায়।
[আরও পড়ুন: সম্পর্কের টানাপোড়েনে আত্মঘাতী কিশোরী, প্রেমিকের বাড়িতে তাণ্ডব পরিজনদের]
পাঁচপোতা ভাড়াডাঙা উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া দীপিকা দাস। দীর্ঘদিন ধরে সহপাঠী এক কিশোরের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল তাঁর। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। বন্ধুদের সঙ্গে সে বিষয়ে আলোচনাও করে দীপিকা। বন্ধুরা একাধিকবার তাদের অশান্তির সমাধানও করে দেয়। কিন্তু আচমকা ফের ওই কিশোরীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে তার প্রেমিক। জানা গিয়েছে, একাধিকবার প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টাও করে দীপিকা। কিন্তু তার কথা শুনতে রাজি হয়নি ওই কিশোর। এরপরই দীপিকার মোবাইল নম্বরটি ব্লক করে দেয় সে। সেই থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল ওই সে। বন্ধুবান্ধব তো দূর, পরিবারের কারও সঙ্গেও কথা বলত না দীপিকা।
[আরও পড়ুন: ফের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ, কাকদ্বীপে ডাক্তারের উপর চড়াও রোগীর আত্মীয়রা]
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় দীপিকা। দীর্ঘক্ষণ দরজা না খোলায় বাড়ির লোকজন তাকে ডাকাডাকি শুরু করে। সাড়া না পেয়ে জানলা দিয়ে তাঁরা দেখতে পান, সিলিং ফ্যানে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে দীপিকা৷ খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃত ছাত্রীর স্কুলের শিক্ষক বলেন, “ওদের মধ্যে যে সম্পর্ক ছিল, সেটা অনেকেই জানত। তবে তার যে এমন পরিণতি হবে ভাবিনি।” পুলিশ সূত্রের খবর, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে ওই কিশোরীর পরিবার ও বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।