Advertisement
Advertisement
স্যানিটারি ন্যাপকিন বিলি

অভাবে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে ‘না’, সাহায্যের হাত বাড়াল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন

সংস্থার উদ্যোগে খুশি স্বাস্থ্য দপ্তর।

An organisation distributes sanitary napkines in alipurduar
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 5, 2019 2:29 pm
  • Updated:September 5, 2019 2:30 pm

রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: বেশ কিছু চা বাগান ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়েছে। কিছু এখনও খোলা থাকলেও সেখানে মজুরি অতি সামান্য। ফলে খাদ্য বস্ত্রের জোগানের পর নিজের পরিবারের যত্ন নেওয়া কার্যত বিলাসিতা চা বলয়ের শ্রমিকদের কাছে। ফলে বরাবরই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভোগেন চা বলয়ের মহিলারা। তাঁদের কথা ভেবেই বিশেষ উদ্যোগ নিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে। আলিপুরদুয়ারে মহিলাদের হাতে স্যানিটারি ন্যাপকিন তুলে দিল তাঁরা।

[আরও পড়ুন:লিলুয়ায় যুবক খুনের কিনারা পুলিশের, গ্রেপ্তার ৫]

চা বাগানের শ্রমিকদের দৈনন্দিন উপার্জন মাত্র ১৭৪ টাকা। সেই টাকায় দুই বেলার খাবার জোগাতেই হিমিশিম খেতে হয় শ্রমিক পরিবারগুলিকে। সেই পরিবারে পরিচ্ছন্নতার জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যাবহার বিলাসিতা মাত্র। ফলে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপরিচ্ছন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করায় বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হন চা বলয়ের মেয়েরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য দপ্তরও। পরিস্থিতির বদল ঘটাতে এবার ময়দানে উইমেন এডুকেশনাল অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা। বুধবার চা বলয়ের মেয়েদের বিনামুল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরন করা হয় ওই সংস্থার তরফে। কালচিনি ব্লকের উত্তর লতাবাড়ি হিন্দি হাইস্কুলেও এদিন স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়। ওই সংস্থার এই উদ্যোগে খুশি আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।

Advertisement

আলিপুরদুয়ারের ডেপুটি সিএমওএইচ ২ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “এটি অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ। এটা যে মেয়েদের কতটা কাজে লাগবে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে এগুলো বিতরণ করলে আরও ভাল হত। স্বাস্থ্য কর্মীরাও এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা নিতে পারতেন।” বিনামূল্যে প্যাড বিতরণকারী সংস্থ্যার ডিরেক্টর রিংজি ওংমু ভুটিয়া বলেন, “এই এলাকা অর্থনৈতিকভাবে অনেক পিছিয়ে। এই এলাকায় মহিলারা কিনে ন্যাপকিন ব্যাবহার করতে পারেন না। সেই কারনে এই উদ্যোগ। মূলত সি কে শর্মা নামে এক ব্যাক্তির আর্থিক সাহায্যে আমরা এই কাজ করতে পারছি।” কোনও স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন বলে জানানো হয়েছে।  

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের মালদহে শুটআউট, বন্ধুর গুলিতে মৃত যুবক]

লতাবাড়ি হিন্দি হাইস্কুলের শিক্ষিকা সীমা বিশ্বাস বলেন, “এই অঞ্চলের মেয়েদের যে এই সংক্রান্ত সমস্যার মধ্যে যেতে হয় তা একজন শিক্ষিকা হওয়ার সুবাদে আমরা জানি। আমাদের বিদ্যালয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে একটি বক্স দেওয়া হয়েছে। সেই বাক্স খালি হয়ে গেলে আমরা আবার সংস্থায় জানাই। তারা ফের সেই বাক্সে প্যাড ভরে দিয়ে যান। মেয়েরা সেখান থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ