Advertisement
Advertisement

Breaking News

গোলি্ মারো স্লোগান

কলকাতায় ‘গোলি মারো’ স্লোগানের জেরে ধৃত আরও এক বিজেপি কর্মী

ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচজন।

Another BJP worker arrested from Sodepur for Goli Maro slogan
Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 4, 2020 11:57 am
  • Updated:March 4, 2020 11:58 am

অর্ণব আইচ: শহরে ‘গোলি মারো’ স্লোগান দিয়ে গ্রেপ্তার আরও এক। নাম প্রশান্ত সরকার। সোদপুরের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার কলকাতা শহরের মিছিলে তাকে ‘গোলি মারো’ স্লোগান দিতে দেথা গিয়োছে সিসিটিভিতে। তারপরই তার খোঁজ শুরু হয়েছিল। শেষপর্যন্ত বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। মঙ্গলবারও আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রবিবার শহিদ মিনারে বিজেপির মিছিল থেকে ‘গোলি মারো’ স্লোগান ওঠে। এই অভিযোগে প্রথমেই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফলে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল পাঁচ।

পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে প্রায় ২৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বুধবার সোদপুর এলাকা থাকে প্রশান্ত সরকার নামে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হল। এদিকে সোমবার গভীর রাতে আরেক বিজেপি কর্মী সুজিত বড়ুয়াকে সোদপুর থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয় চেতলার বাসিন্দা সন্দীপ সোনকারকে। সুজিত বড়ুয়া নামে ওই বিজেপি কর্মী যে সোদপুরের বাসিন্দা, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর ঘোলা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন মধ্য কলকাতার নিউ মার্কেট থানার পুলিশ আধিকারিকরা। রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিউ মার্কেট থানায় নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার বিকেলেই শনাক্ত করা হয় দক্ষিণ কলকাতার চেতলার বিজেপি কর্মী সন্দীপ সোনকারকে।পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : সাতদিনে দু’বার, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফের নিখোঁজ রোগী]

ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারায় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে হিংসা ছড়ানো, ৫০৫ ধারায় জনগণকে ভয় দেখানো, ৫০৬ ধারায় হুমকি, ৩৪ ধারায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার সুজিত বড়ুয়াকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হলে তাঁকে ৫ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। বাকি ধৃতদের বুধবার আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন : ইছামতীর পাড় থেকে উদ্ধার যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ, চাঞ্চল্য বনগাঁয়]

পুলিশের অভিযোগ, রবিবার দুপুরে দু’টি মিছিল থেকে যে ধরনের স্লোগান দেওয়া হয় তাতে শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা ছিল। এমন উস্কানিমূলক স্লোগান কেউ দিলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে সতর্ক হয়েছে প্রত্যেকটি থানা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ