Advertisement
Advertisement
Anubrata Mandal

Anubrata Mandal: ‘বাংলার মানুষ, বাড়ি বাংলায়, দিল্লি যাব কেন?’, মামলা স্থানান্তর নিয়ে বিচারককে প্রশ্ন অনুব্রতর

আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারকের সঙ্গে ভারচুয়ালি কথা বলেন তিহাড় জেলবন্দি অনুব্রত।

Anubrata Mandal opposes the decision to transfer his case । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 10, 2023 5:06 pm
  • Updated:August 10, 2023 5:06 pm

শেখর চন্দ, আসানসোল: “আমরা বাংলার মানুষ। আমাদের বাড়ি বাংলায়। আমরা দিল্লি যাব কেন?”, আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালত থেকে দিল্লিতে মামলা স্থানান্তর নিয়ে বিচারককে প্রশ্ন অনুব্রত মণ্ডলের। এদিন তিহাড় জেলবন্দি তৃণমূল নেতার সঙ্গে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর ভারচুয়ালি কথা হয়। এদিকে, বাথরুমে পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে যাওয়ায় অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন অবশ্য শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন। শুনানির সময় এমআরআই করাতে গিয়েছিলেন তিনি।

গত দু’বার অনুব্রতর ভারচুয়ালি শুনানি হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার তিহাড় জেলবন্দি অনু্ব্রতর সঙ্গে সরাসরি কথা বললেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। যদিও এদিন অনুব্রতর হয়ে জামিনের আবেদন করেননি তাঁর আইনজীবী। বিচারক বলেন, “আপনি তো অনেকটাই রোগা হয়ে গিয়েছেন দেখছি।” জবাবে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “হ্যাঁ, সাহেব শরীরের রোগগুলো তো সবই রয়েছে। তাই ওষুধপত্র সবই চলছে।” ইনহেলার ব্যবহার করছেন কিনা, তা জানতে চান বিচারক। অনুব্রত বলেন, “ইনহেলার, নেবুলাইজার দু’টোই নিচ্ছি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ৫ হাজার কোটি বকেয়া! বাণিজ্যিক গাড়ির কর চুরি রুখতে বিপুল ছাড়ের ভাবনা নবান্নের]

অনুব্রত মণ্ডল বিচারককে বলেন, “শুনছি মামলাটা দিল্লি চলে যাবে! আমরা দিল্লি যাব কেন? আমরা বাংলার মানুষ। আমাদের বাড়ি বাংলায়। আমরা দিল্লি যাব কেন? সাক্ষী-সহ সবার বাড়ি বীরভূমে।” বিচারক বলেন, “দিল্লি কোর্ট বলেছে, চার মাস আপনাকে ওখান থেকে সরানো যাবে না। তাই এখন ওখানেই থাকতে হবে। ইডি একটা আবেদন করেছে। আর মামলা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। ১৯ আগস্ট শুনানি রয়েছে। আপনার উকিলকে বলবেন আবেদন করতে। আমি দেখব। কিন্তু দেশের আইন যদি বাধ্য করে মামলা স্থানান্তরের বিষয়ে তাহলে সেই আইন আমাকে মানতে হবে। আইন সকলের জন্য সমান। আপনার ক্ষেত্রেও, আমার ক্ষেত্রেও।” তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে সে বিষয়ে বিচারককে প্রশ্ন করেন অনুব্রত। বলেন, “আমি কি হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট যেতে পারি?”

Advertisement

বিচারক বলেন, “অবশ্যই। সেজন্য তো হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট খোলা হয়েছে। আপনারা সেখানেও আবেদন জানাতে পারেন।” পালটা নিজের ফ্রিজ হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে বিচারককে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন অনুব্রত। বলেন, “সাহেব, আমার সব আকাউন্টগুলো ফ্রিজ আছে। একটা অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করে দিন। কর্মচারীদের টাকা দিতে পারছি না। বেতন, বোনাস কিছুই দিতে পারছি না।” বিচারক বলেন, “আপনার মুখের কথায় এটা সম্ভব নয়। আইনজীবী মারফত আবেদন করুন। আমার কাছে এখনও পর্যন্ত এই মর্মে একটা আবেদনও আসেনি।” কথোপকথন শেষে বিচারক জানান এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ সেপ্টেম্বর।

[আরও পড়ুন: অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা পিছনোর উপহার! বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান শিবঠাকুরের স্ত্রী লিপিকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ