দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ১০ মাস পর পুলিশি নিরাপত্তায় পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে ফিরলেন আরাবুল ইসলাম। তাঁকে দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। তাঁকে স্বাগত জানাতে রীতিমতো পুষ্পবৃষ্টি হয়। আরাবুলের অনুপস্থিতিতে শওকত মোল্লার প্রভাব বেড়েছিল এলাকায়। আরাবুল ফিরতেই নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠবে না তো ভাঙড়? আশঙ্কায় স্থানীয়রা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতবছর উত্তাল হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। ২০২৩ সালের জুন মাসে বিজয়গঞ্জ বাজারে খুন হয়েছিলেন আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লা। নাম জড়িয়েছিল আরাবুল ইসলামের। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ভাঙড় ডিভিশনের বিজয়গঞ্জ বাজার থানার পুলিশ। এদিকে আরাবুল জেলে থাকায় লোকসভা ভোটের আগেই তাঁকে ভাঙড় ২ ব্লকের তৃণমূলের কনভেনার পদ থেকে সরিয়ে দেয় দল। লোকসভা নির্বাচনে আরাবুলহীন ভাঙড়েও শওকত মোল্লার নেতৃত্বে তৃণমূল ভালো মার্জিনে জিতে যায়। এর পর ৯ জুন ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সোনালী বাছাড়কে কার্যকারী সভাপতি করা হয় আরাবুল ইসলামের জায়গায়। তা নিয়ে ভাঙড়ের রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চর্চা হয়। শুধু তাই নয়, আরাবুল জামিন পাওয়ার আগেই তাঁর নামাঙ্কিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বোর্ড খুলে ফেলা হয়।
এরই মধ্যে একটানা পাঁচ মাস জেলবন্দি থাকার পর গত ২ জুলাই শর্তসাপেক্ষে জামিন পান আরাবুল। বিজয়গঞ্জ বাজার থানা এলাকায় ঢোকার ক্ষেত্রে জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। ঘটনা হল, ওই থানার অধীনেই ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি। ফলে আরাবুল বাড়ি ফিরলেও দপ্তরে ফিরতে পারেননি পাঁচ মাস। সবমিলিয়ে টানা দশ মাস পর পঞ্চায়েত সমিতির দপ্তরে আরাবুল। ভাঙড়ের রাজনৈতিক আঙিনায় গুঞ্জন, পঞ্চায়েত সমিতিতে নিজের আধিপত্য স্থাপনে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে আরাবুল। অপরদিকে আরাবুল বিরোধী শওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ খাইরুল ইসলামরা কোনওমতেই আরাবুলকে ঘর দিতে চাইছে না বলে খবর। ফলে ঝামেলা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.