Advertisement
Advertisement

Breaking News

আরামবাগ টিভি

অবশেষে আট সপ্তাহ পর জেল থেকে মুক্ত ‘আরামবাগ টিভি’-র সম্পাদক

বিকেল চারটের মধ্যে সফিকুলকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন।

Arambag TV's Editor Shafikul Islam got bail ordered by Kolkata High Court
Published by: Paramita Paul
  • Posted:August 24, 2020 6:54 pm
  • Updated:August 24, 2020 8:22 pm

শুভঙ্কর বসু: অবশেষে অপেক্ষার অবসান। আট সপ্তাহ পর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে জেল থেকে ছাড়া পেলেন ‘আরামবাগ টিভি’-র সম্পাদক সফিকুল ইসলাম। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন বিকেল চারটের মধ্যে সফিকুলকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সফিকুল বলেন, “আমি আনন্দিত। তবে সেদিন আরও বেশি আনন্দ পাব, যেদিন মুক্তকণ্ঠে সত্য কথা সকলের সামনে বলতে পারব।” একইসঙ্গে, তিনি তাঁর সহযোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি আরামবাগ টিভি-র সম্পাদক।

প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগে সবকটি মামলাতেই জামিন দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু জেল মুক্ত হওয়ার আগেই ফের গ্রেপ্তার করা হয় ‘আরামবাগ টিভি’-র সম্পাদক সফিকুল ইসলামকে। মুক্ত হওয়ার আগেই সফিকুলকে পুরনো একটি কেস গ্রেপ্তার করে আরামবাগ মহিলা থানা। যেখানে সুমন্ত জস নামে এক সরকারি চাকরিজীবী সফিকুলের বিরুদ্ধে ভুল খবর দেখানোর অভিযোগ এনেছিল। এই মামলায় সফিকুলকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে আগেই অন্তর্বর্তকালীন নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক। তবে তদন্তের সার্থে সহযোগিতা করার কথাও বলেছিলেন হাই কোর্ট। সেই মোতাবেক থানাই গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সফিকুল। তারপরও সেই কেসে গ্রেপ্তার করা হয় সফিকুলকে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন : মুর্শিদাবাদে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বিধায়ক, ঘেরাও করে বিক্ষোভ ক্ষুব্ধ জনতার]

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই ভোররাতে বাড়ির দরজা, জানলা ভেঙে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ‘আরামবাগ টিভি’র সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী আলিমা খাতুন ও আরামবাগ টিভির সাংবাদিক সুরজ আলি খানকে। তাঁদের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনের নামে তোলাবাজির অভিযোগ ছিল। যদিও ‘আরামবাগ টিভি’র আধিকারিকদের দাবি, সফিকুল এবং সুরজের উপর পুরনো রাগ পুলিশের। এপ্রিল মাসে ‘আরামবাগ টিভি’তে একটি খবর সম্প্রচারিত হয়। যাতে দেখানো হয়, লকডাউনের মধ্যেও থানা থেকে স্থানীয় কতগুলি ক্লাবকে আর্থিক সাহায্যের চেক বিলি করা হচ্ছে। সেই খবরে দাবি করা হয়, তথাকথিত এই ‘ক্লাব’গুলির কোনও অস্তিত্বই নেই। শাসকদলের নেতামন্ত্রীদের টাকা পাইয়ে দিতেই এভাবে ক্লাবের নামে থানা থেকে চেক বিলি করা হচ্ছে। তখনই সফিকুলের বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো’ খবর সম্প্রচারের মামলা দায়ের করা হয়। 

Advertisement

[আরও পড়ুন : গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় বাসের সিটে মিলল চালকের রক্তাক্ত দেহ, চাঞ্চল্য হুগলিতে]

দেখুন ভিডিও: 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ