Advertisement
Advertisement
করোনা

আতঙ্কে অশোকনগরের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের গেট আটকেছেন স্থানীয়রা, পিছনের পথই ভরসা প্রশাসনের

পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা।

Ashoknagar Netaji satabarshiki declared as quarantine centre
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:June 1, 2020 2:10 pm
  • Updated:June 1, 2020 2:32 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনবহুল এলাকার কলেজে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরিতে আপত্তি থাকায় প্রবেশদ্বার আটকে দিয়েছিলেন স্থানীয়রা। তা সত্ত্বেও সেখানেই তৈরি হয়েছে সেন্টার। যদিও প্রবেশদ্বার পিছনের দরজা! নিরাপত্তার দায়িত্বে নেই কোনও পুলিশ! কোনও রকম সুরক্ষা ছাড়াই বিভিন্ন প্রয়োজনে ওই সেন্টারে যেতে হচ্ছে কলেজের শিক্ষাকর্মীদের। অশোকনগরের নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের এহেন অব্যবস্থায় বাড়ছে ক্ষোভ। 

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় প্রশাসনের উদ্যোগে বাড়ানো হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংখ্যাও। সেন্টার তৈরির জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার স্কুল-কলেজগুলিকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেন্টার তৈরিতে গিয়ে এলাকাবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে পড়তে হচ্ছে পুলিশ-প্রশাসনকে। কারণ, সংক্রমণের আশঙ্কায় কেউই এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরিতে সায় দিচ্ছেন না। একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে উত্তাল হয়ে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বিভিন্ন এলাকা। নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়কে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হচ্ছে, এবিষয়টি প্রকাশ্যে এলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন এলাকার বহু মানুষ। বাঁশ, লাঠি দিয়ে তাঁরাই আটকে দিয়েছিলেন কলেজের গেট। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই কলেজেই তৈরি হয়েছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। জানা গিয়েছে, সামনের গেট স্থানীয়রা আটকে দেওয়ায় করোনা উপসর্গযুক্তদের পিছনের গেট দিয়ে ঢোকানো হচ্ছে সেখানে। গোটা ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে পুলিশ ও প্রশাসনের চূড়ান্ত গাফিলতির ছবি। অভিযোগ, ওই সেন্টারের নিরাপত্তার দায়িত্বে নেই কোনও পুলিশ। কলেজটিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হলেও জল ও একাধিক প্রয়োজনে নিয়মিত সেখানে যেতে হচ্ছে কলেজের শিক্ষাকর্মীদের। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনের তরফে তাঁদের সুরক্ষার জন্য কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হচ্ছে না। পিপিই তো দূর-অস্ত, মাস্ক-স্যানিটাইজার পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের। সূত্রের খবর, এবিষয়ে একাধিকবার পুলিশ-পুরসভায় যোগাযোগ করা হলেও কোনও সহযোগিতা মেলেনি। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: সংক্রমণের আশঙ্কায় বাড়িতে হয়নি জায়গা, শ্মশানেই ঠাঁই মহারাষ্ট্র ফেরত দুই ভাইয়ের]

তবে এই পরিস্থিতিতে ত্রাতার ভূমিকায় ব্লক যুব তৃণমূলের সম্পাদক প্রদীপ সিং। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। পাশাপাশি, কলেজের শিক্ষাকর্মীদের সহযোগিতাও করছেন প্রদীপবাবু। তবে জনবহুল এলাকায় কেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হল? কেনই বা সুরক্ষার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না, সেবিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন সকলেই। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য শান্তিপুরের মসজিদে তৈরি হল কোয়ারেন্টাইন সেন্টার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ