সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: স্কুলছাত্রীর উপরে হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো আমতায়। স্কুল যাওয়ার পথে কয়েকজন যুবক তাকে জোর করে কীটনাশক খাইয়ে দেয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত ছাত্রী চেঁচামেচি শুরু করলে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে বাইকে চেপে পালিয়ে যায়। ততক্ষণে জ্ঞান হারিয়েছে ওই নাবালিকা। তড়িঘড়ি তাকে ভরতি আমতা হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তর করা হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে । গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আমতার উদংয়ে। আক্রান্ত ছাত্রীর পরিবারের তরফে অপহরণের অভিযোগ করা হয়েছে। তার বাবা অভিযোগ, মেয়েকে অপহরণের জন্য কীটনাশক খাইয়েছিল অভিযুক্তরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আমতার উদং গার্লস স্কুলের ছাত্রীদের প্রায় প্রতিদিনই উত্ত্যক্ত করে একদল যুবক। বহুবার প্রতিবাদ করেও কোনও লাভ হয়নি।
[দাদাকে পুড়িয়ে খুনের পর আত্মহত্যার চেষ্টা ২ তরুণীর, ময়ূরেশ্বরে চাঞ্চল্য]
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ছাত্রীর বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব প্রায় দু’কিলোমিটার। তাড়াতাড়ি পৌঁছানোর জন্য সোমবার সকালে শর্টকাট ধরে স্কুলে যাচ্ছিল সে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মাঝ রাস্তায় একটি নির্জন জায়গায় ওই ছাত্রীকে বাইক নিয়ে ঘিরে ধরে তিন যুবক। জোর করে সাইকেল থেকে নামিয়ে তাকে কীটনাশক খাইয়ে দেয় তারা। আক্রান্ত ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। তবে তিনজন প্রকাশ্যে এলেও অভিযুক্তের সংখ্যা সাত আটজন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে আমতা হাসপাতালে অচেতন ছাত্রীকে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দিনেদুপুরে স্কুল ছাত্রীর উপরে হামলার ঘটনায় উদ্বেগে গোটা পরিবার। মুখে কুলুপ এঁটেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে আমতা থানার দাবি, ছাত্রীর উপরে হামলার ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আক্রান্ত ছাত্রীকে কীটনাশক খাওয়ানো হয়েছে। কী কারণে স্কুল ছাত্রীকে কীটনাশক খাওয়ালো অভিযুক্তরা? তা স্পষ্ট নয়।