Advertisement
Advertisement

Breaking News

Babul Supriyo

এক মাসেই ১ কোটি! দ্বিতীয়বার সাংসদ হয়েই মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ বাবুলের

সাংসদ তহবিলের ৫ কোটির মধ্যে ১ কোটিই বরাদ্দ প্রথম মাসে৷

Babul Supriyo sanctions 1 crore for development during this month
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 25, 2019 3:31 pm
  • Updated:June 25, 2019 5:40 pm

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: এক মাসে ১ কোটি৷ দ্বিতীয়বার সাংসদ হয়েই তহবিল থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করলেন বাবুল সুপ্রিয়৷ উপেক্ষিত শ্মশানঘাটের জন্য এই প্রথম হাইমাস আলোর ব্যবস্থা করলেন তিনি। সাংসদ তহবিলের ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দে এখানে আলোর ব্যবস্থা হবে বলে ঘোষণা করেছেন বাবুল৷

[আরও পড়ুন: ভরা বাজারে যুবককে কুপিয়ে খুন মহিলার, অভিযুক্তদের ধরে গণপিটুনি]

দ্বিতীয়বার সাংসদ হয়ে শপথ নেওয়ার ১৪ দিনের মাথায় উন্নয়নে খাতে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। প্রথম ধাপে বরাকরের জন্য হাইমাস লাইট, আসানসোল উত্তরের রাস্তা ও লাউদোহায় প্রতীক্ষালয়ের শেড তৈরির জন্য এই টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। একমাসের মাথায় সাংসদ তহবিলের সেই টাকার অঙ্ক পৌঁছে গেল প্রায় এক কোটি টাকায়। অর্থাৎ, ১৫ দিনে তিনি আরও ৭৫ লাখ টাকা সাংসদ তহবিল থেকে দিলেন। জামুড়িয়ার সিদ্ধপুরের কমিউনিটি হলের জন্য ১৫ লাখ, কুলটি সন্ন্যাসীতলায় বাসস্ট্যান্ডের জন্য ৫ লাখ, রানিগঞ্জ জেকে নগরের রাস্তার জন্য ২০ লাখ-সহ একাধিক প্রকল্পে মোটা অঙ্কের টাকা অনুমোদন করেছেন। প্রত্যেকটি কাজের জন্য বরাদ্দ টাকা বা অনুমোদিত প্রকল্পগুলি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সাধারণ মানুষকে জানিয়ে যাচ্ছেন।

Advertisement

বাবুল সুপ্রিয়র অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে সংসদ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা পুরোপুরি বরাদ্দ করলেও বেশ কিছু কাজ আমলাদের অসহযোগিতায় আটকে গিয়েছে। কোথাও দেরিও হয়েছে৷ সাংসদ বলেন, ‘এবার থেকে ঠিক করেছি, আসানসোলের উন্নয়নের জন্য যা যা বরাদ্দ করব, তার সবটাই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে স্থানীয় মানুষদের অবগত করব। যেন সাধারণ মানুষই সেই কাজ সময়মতো দ্রুত আদায় করে নিতে পারেন।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: ৩দিন ধরে উধাও রোগীর ঝুলন্ত দেহ হাসপাতালেই, চাঞ্চল্য বিষ্ণুপুরে]

নিজের সাংসদ ও মন্ত্রকের লেটারপ্যাড থেকে জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে প্রত্যেকটি প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘এই কাজগুলি আমার সাংসদ তহবিল থেকে প্রস্তাব পাঠালাম। আপনি সবকিছু দেখে নিয়ে ৭৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পাঠান৷’ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যেখানে সারা বছর সাংসদ তহবিলের অঙ্ক ৫ কোটি টাকা, সেখানে একমাসেই প্রায় ১ কোটি বরাদ্দ করে ফেলেছেন আসানসোলের সাংসদ৷ বাকি টাকা তিনি কীভাবে বরাদ্দ করবেন, উঠছে প্রশ্ন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ