Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাবুল সুপ্রিয়

আসানসোলে হোক করোনা টেস্টিং ল্যাব, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি বাবুলের

মন্ত্রীর মতে, এতে কলকাতার ল্যাবগুলোর উপর চাপ ও নির্ভরশীলতাও কমবে।

Babul Supriyo wrote letter to health ministry to make a Corona testing lab in Asansol
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:March 25, 2020 2:38 pm
  • Updated:March 25, 2020 2:38 pm

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: কলকাতা থেকে রিপোর্ট আসার অপেক্ষা করলে চলবে না, আসানসোলেও তৈরি করতে হবে করোনা (Coronavirus) চিহ্নিতকরণের ল্যাবরেটরি। এই শহরেই যাতে করোনার উপসর্গ নিয়ে ভরতি হওয়া রোগীদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা যায়, এবার সেই চেষ্টাই করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। দ্রুত রোগ নির্ণয় করে করোনা আক্রান্তদের আলাদা জায়গায় রাখতে পারলে সংক্রমণ ছড়ানো আটকানো সম্ভব। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে তাই করোনা পরীক্ষা ল্যাব তৈরির আবেদন জানালেন আসানসোলের সাংসদ।

করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত পরীক্ষার কোনও পরিকাঠামো নেই আসানসোলে। এই পরিস্থিতিতে আসানসোলে সন্দেহজনক কেউ ধরা পড়লে তাঁর সোয়াব বা লালারস পাঠাতে হচ্ছে কলকাতায়। ২৫০ কিলোমিটার দূরে সেই নমুনা পাঠানোর পর হবে পরীক্ষা, তারপর রিপোর্ট দেখে হবে চিকিৎসা। তাই আসানসোলে দ্রুত করোনা ভাইরাস টেস্টিং ফেসিলিটি বা করোনা চিহ্নিতকরণের ল্যাব চালু করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় নয়া উদ্যোগ, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য ‘ফোর্ট রায়চক’ দিলেন হর্ষ নেওটিয়া]

বাবুল বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে শনিবার রাতেই আসানসোল-দুর্গাপুরের জন্য করোনা চিহ্নিতকরণের ল্যাব চালুর দাবি জানিয়েছিলাম। সোমবার লিখিতভাবে তাঁকে এই আবেদন ফের করলাম। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় জনবহুল শহর আসানসোল। শিল্প ও উন্নয়নশীল শহর আসানসোল-দুর্গাপুর। এরকম একটা শহরে COVID-19 পরীক্ষার জন্য পরিকাঠামো যেন গড়ে তোলা হয় ও বেশি বেশি করে কিট পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ আসানসোল হাসপাতালের আইসোলেশনে ভরতি হয়েছিলেন স্কটল্যান্ড ফেরত চার বছরের শিশু ও তাঁর মা। বাবা ছিলেন হাসাপাতালের কোয়ারেন্টাইনে। তার পরেরদিনই ম্যাঞ্চেস্টার ফেরত এক অসুস্থ যুবক ভরতি হন আইসোলেশন ওয়ার্ডে। তাঁদের মুখের সোয়াব পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। তার ৫ দিন পর অর্থাৎ ২৩ মার্চ রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। ফলে গোটা প্রক্রিয়ায় অনেক সময় চলে যায়। বাবুল সুপ্রিয় বলেন, অবস্থানগত কারণেই আসানসোলে এই টেস্টিং ল্যাবের বিশেষ প্রয়োজন। তাহলে উপকৃত হবেন আাসানসোল, দুর্গাপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার রোগীরা। পাশাপাশি কলকাতার ল্যাবরেটরিগুলোর উপর চাপ ও নির্ভরশীলতাও কমবে। তেমনই দ্রুত রোগ নির্ণয় করা গেলে করোনার সংক্রমণ অনেকটা আটকানো যাবে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সেখান থেকেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো যাবে বলে মনে করছেন বাবুল।

[আরও পড়ুন: আতঙ্কের মাঝে স্বস্তি! রাজ্যের আইসোলেশনে থাকা ৪৬ জনের শরীরে মিলল না করোনা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ