Advertisement
Advertisement

Breaking News

DA Strike

শুক্রবার DA ধর্মঘটে বন্ধ ছিল স্কুল, রবিবার স্কুল খুলে শাসকদলের রোষে বাগদার প্রধান শিক্ষক

পঞ্চায়েত সমিতির প্রধানের ধমকে টিফিনেই বন্ধ হয়ে গেল স্কুলের পড়াশোনা।

Bagda school opened on Sunday after joining DA protest, faces the heat from TMC leader | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 12, 2023 2:35 pm
  • Updated:March 12, 2023 5:20 pm

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: শুক্রবার সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ধর্মঘটের দিন বন্ধ ছিল বাগদার (Bagda) কোনিয়ারা যাদবচন্দ্র হাইস্কুল৷ ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা ব্যাহত হয়৷ রবিবার কর্তৃপক্ষ স্কুল খোলা রেখে ক্লাসের আয়োজন করেছিলেন৷ ছাত্রছাত্রীরাও আসে। রান্না হয়েছিল মিড ডে মিলও (Mid Day Meal)৷ কিন্তু তাল কাটল দুটি ক্লাস হওয়ার পরেই।

আচমকা স্কুলে এসে চড়াও হন বাগদার তৃণমূল (TMC) পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়, কোনিয়ারা এক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রামেশ্বর বৈরাগী-সহ তৃণমূলের লোকজন। ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি ছাড়া কেন রবিবার স্কুল খোলা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে প্রধান শিক্ষককে তাঁরা রীতিমতো ধমক লাগান বলে অভিযোগ৷ টেবিলে থাপ্পড় মারা হয়। উত্তেজিত হয়ে হুমকি দেন গোপা রায়৷ জোর করে এদিনের হাজিরা খাতায় শিক্ষকদের উপস্থিতি প্রধান শিক্ষককে দিয়ে কেটে দিতে বাধ্য করা হয়। এসবের জেরে এদিন টিফিন পর্যন্ত ক্লাস হয়ে বন্ধ হয়ে গেল স্কুলের পঠনপাঠন৷

Advertisement

Advertisement

ডিএ ধর্মঘটের (DA Strike) দিন স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা পড়ুয়ারা কেউ আসেননি৷ ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা বিঘ্নিত হওয়ায় প্রধান শিক্ষক অনুপম সর্দার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনুমতি নিয়ে পড়ুয়াদের কাছে জানতে চান, রবিবার ক্লাস করালে তারা আসবে কিনা। বেশিরভাগ পড়ুয়ায় স্কুলে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করায় এদিন ক্লাসের আয়োজন করা হয়েছিল। শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেরা চাঁদা তুলে এদিন ছাত্রছাত্রীদের জন্য মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করেছিলেন৷

[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকেও কাটল না DA জট, ‘অনশন প্রত্যাহার নয়’, জানালেন আন্দোলনকারীরা]

এদিন স্কুল চলাকালীন গোপা দেবী ও রামেশ্বরবাবু লোকজন নিয়ে স্কুলের মধ্যে চড়াও হন৷ গোপাদেবী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ লঙ্ঘন করে শুক্রবার স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল৷ রবিবার সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্লাস নেওয়া হয়েছে৷ স্কুল কমিটিকে পর্যন্ত জানানো হয়নি৷ আমরা জানতে এসেছি, কার নির্দেশে প্রধান শিক্ষক এটা করলেন৷ প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়নি সম্মানের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে৷

প্রধান শিক্ষক অনুপম সর্দার বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের অনুমতি নিয়েই আমরা এদিন স্কুল খুলেছিলাম৷ টেকনিক্যালি হয়তো কিছু ভুল হয়ে থাকতে পারে৷ শনিবার-রবিবার শিক্ষাদপ্তর বন্ধ থাকায় লিখিতভাবে অনুমতি নিতে পারিনি৷ তবে আমাদের উদ্দেশ্য তো ছাত্রীদের পঠনপাঠন করানোই ছিল৷ স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতিকে জানানো হয়েছিল। যদিও তাঁর কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি ব্রজেশ্বর দাস৷

[আরও পড়ুন: সাড়ে তিন বছরের অপেক্ষার অবসান! টেস্ট সেঞ্চুরিতে প্রত্যাবর্তন বিরাটের]

তবে এদিন সকালে স্কুলে এসে খুশি ছাত্রছাত্রীরা৷ অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীদের কথায়, “রবিবার এই প্রথম স্কুল করলাম ৷রবিবার বন্ধু বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা হয় না। এদিন দেখা হল একসঙ্গে পড়াশোনা করলাম মজাও করলাম। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি৷ বিজেপি নেতা শিশির হাওলাদার বলেন, “শিক্ষকরা মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন৷ শুক্রবার স্কুল বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের যে ক্ষতি হয়েছিল, তা পূরণ করার চেষ্টা করল রবিবার দিন স্কুল করে৷ তৃণমূলরা স্কুলে ঢুকে পঠনপাঠন বন্ধ করল। ওরা শিক্ষাক্ষেত্রে কী করেছে, এটা রাজ্যের মানুষ দেখছে৷ ওরা চায় না, ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হোক সব কিছু জানুক৷ তাই স্কুলে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়ে পড়াশোনা বন্ধ করে দিল৷”

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ