সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ফের হুগলি নদীতে ফ্লাই অ্যাশ বোঝাই জাহাজে দুর্ঘটনা। বজবজ CESC থেকে ফ্লাইঅ্যাশ নিয়ে রওনা হওয়া একটি বাংলাদেশি জাহাজ ডুবে গেল কুলপির ট্যাংরার চরের কাছে। ওই জাহাজে থাকা আটজনকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বজবজের কাছে CESC থেকে ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই করে একটি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি তোফাদারি-৪ বাংলাদেশে ফিরছিল। জাহাজটি রাতে সাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপের কাছে নোঙর করে। হুগলি নদীতে তখন জোয়ার ছিল। জোয়ারের জলের তোড়ে পাশে থাকা অন্য একটি জাহাজের সঙ্গে হঠাৎই ধাক্কা লাগে এমভি তোফাদারি-৪’এর। সেই ধাক্কায় বাংলাদেশি জাহাজটির ইঞ্জিন রুমের তলা ফুটো হয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে জাহাজে থাকা আটজনের সাতজনই নদীতে ঝাঁপিয়ে সাঁতরে পাশের জাহাজটিতে উঠে পড়েন। বাকি একজন নাবিক জাহাজটিতেই রয়ে যান।
[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় নয়া পদক্ষেপ রেলের, কর্মীদের জন্য খড়গপুরে তৈরি ‘স্যানিটাইজ শাওয়ার’]
স্থানীয় মৎস্যজীবী দীপক প্রামাণিক জানিয়েছেন, জোয়ারের জলের ধাক্কা খেতে খেতে ডুবন্ত জাহাজটি চলে আসে কুলপির ট্যাংরার চরের কাছে। ডুবন্ত জাহাজে থাকা এক বাংলাদেশির চিৎকারে তিনি ও আরও একজন মৎস্যজীবী তাঁদের ট্রলার নিয়ে ডুবন্ত জাহাজটির কাছে গিয়ে পৌঁছান এবং ওই বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে আনেন। বৃহস্পতিবার সকাল হতে না হতেই ট্যাংরার চরের কাছে ওই ফ্লাইঅ্যাশ ভরতি জাহাজটি পুরোপুরি হুগলি নদীতে ডুবে যায়। উদ্ধার হওয়া আট বাংলাদেশিকে এদিন সকালে কুলপি থানার পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। সকলেই সুস্থ রয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: চৈত্রের শেষে গোটা রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমতে পারে তাপমাত্রার পারদ]
এর আগে গত ১২ মার্চ, বজবজের মহেশতলার কাছে ফ্লাইঅ্যাশ ভরতি দুই জাহাজের মুখোমুখি সংঘর্ষে ডুবে গিয়েছিল বাংলাদেশের একটি জাহাজ। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পোর্ট ট্রাস্টের একটি পণ্যবাহী জাহাজও। মাসখানেক পর ফের একই রকম দুর্ঘটনা। তবে এবার ভিলেন হয়ে দাঁড়াল জোয়ারের জল। এদিকে, ফের বাংলাদেশি বার্জ ডুবল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নদীতে। এবার সাগরদ্বীপের মুড়িগঙ্গা নদীতে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাগরদ্বীপের কচুবেড়িয়া ঘাটের কাছে মুড়িগঙ্গা নদীতে বিদ্যুতের টাওয়ারে ধাক্কা মারে বাংলাদেশি বার্জটি। জাহাজের নাবিক-সহ দশজন ক্রু’র জীবন বাঁচায় ঘোড়ামারা দ্বীপের স্বামীজি সংঘ থেকে আসা একটি নৌকা। জানা গিয়েছে, নৌকাটি সাগর থানায় রাজ্য সরকারের দেওয়া চেক আনতে গিয়েছিল। সাগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নদীর ঘাটে উপস্থিত হন সাগর বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিম চন্দ্র হাজরাও। বার্জের নাবিক এবং ক্রু’দের প্রাণ বাঁচানোয় নৌকার মাঝিকে ধন্যবাদ জানান তাঁরা।