সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন’টি সংগঠনের ডাকা দুদিনের ব্যাংক ধর্মঘটের আজ শেষ দিন৷ ধর্মঘটের শেষ দিনেও গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছল৷ ব্যাংক ধর্মঘটের সঙ্গে সঙ্গে এটিএম পরিষেবা বন্ধ থাকায় নগদ টাকা মিলছে না। উপরন্তু ব্যাংকের সার্ভারগুলির অধিকাংশ কাজ না করায় এদিন ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডেও পেমেন্ট করতে পারেননি গ্রাহকরা৷
[ফিরল মাও আমলের স্মৃতি, বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে অচল বলরামপুর]
অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার পর কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করতে গিয়ে নাকাল হয়েছেন দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ। নিজেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা থাকা সত্ত্বেও সংসারের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার পর পেমেন্ট না করতে পেরে লজ্জা-অস্বস্তিতে দোকান ছেড়েছেন বহু ক্রেতাই। একইভাবে সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত চাকরিজীবীই মাসের বেতন এবং অবসরপ্রাপ্তরা পেনশন পেয়ে গেলেও টাকা তুলতে পারছেন না। অনলাইনে কেনাবেচার ক্ষেত্রে এদিনও দুর্ভোগে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। কারণ একসঙ্গে বহু মানুষ অনলাইনে ঢুকে পড়ায় চাপ নিতে পারেনি নেটওয়ার্কগুলি। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গরমের ছুটিতে যাঁরা বাইরে বেড়াতে গিয়েছেন তাঁরাও।
[কেন্দ্রীয় বাহিনী নয় মানুষের সমর্থনই বড় কথা, মহেশতলা জয়ে মন্তব্য পার্থর]
নগদ টাকার পরিবর্তে অধিকাংশ মানুষই এখন বেড়াতে গিয়ে এটিএম এবং কার্ডের উপর ভরসা করেন। কিন্তু এদিন ব্যাংকের সার্ভারগুলির অধিকাংশ ঠিকমতো কাজ না করায় কার্ডে পেমেন্ট না হওয়ায় হোটেল ভাড়া ও অন্যান্য বিল মেটাতে গিয়ে কার্যত হেনস্তার সম্মুখীন হয়েছেন পর্যটকরা। রাজ্যের প্রায় ১০ হাজার ব্যাংকের শাখা এবং ২২ হাজার এটিএমের ৯৮ শতাংশই বন্ধ রয়েছে। ধর্মঘটের আওতায় না থাকায় শুধুমাত্র সমবায় ব্যাংকগুলি খোলা রয়েছে। স্বভাবতই ওই ২ শতাংশ ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট এটিএমে বিপুল চাপ পড়েছে। সকাল থেকেই রাজ্যের সমবায় ব্যাংকগুলিতে দীর্ঘ লাইন দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে ব্যাংকিং পরিষেবা কার্যত বন্ধ হয়ে গেলেও কেন্দ্রীয় সরকার তথা রিজার্ভ ব্যাংক পুরোপুরি উদাসীন রয়েছে৷
[সিউড়িতে যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, ধারালো অস্ত্রের কোপে কাটা গেল পুরুষাঙ্গও]
মাসের শেষ৷ দু’দিন ধর্মঘটের জেরে ইতিমধ্যেই নগদে টান চূড়ান্ত আকার নিয়েছে৷ ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে বেসরকারি সংস্থাগুলির কর্মীদের বেতন পাওয়া নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে৷ সরকারি কর্মচারীদের একটা বড় অংশ বেতন পেয়ে গিয়েছেন ইতিমধ্যেই৷ কিন্তু, ধর্মঘটের কারণে টাকা তুলছে সমস্যায় পড়েছেন৷ বেসরকারি ব্যাংকের এটিএমগুলি খোলা থাকার কথা থাকলেও এটিএম ঘুরেও টাকা পাওয়া যায়নি৷ মাস শেষে টাকা না পেয়ে সমস্যা যে হয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন ধর্মঘটিরা৷