সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতের জাতীয় সড়কে ফের দুর্ঘটনা। যার জেরে প্রাণ গেল দুই ট্রাক চালকের। আহত এক খালাসি। বাঁকুড়ার হেভিরমোড়ে দু’টি ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। ফলে আগুন ধরে যায় দুটি ট্রাকেই। এমন বড়সড় দুর্ঘটনা ফের পথ নিরাপত্তা নিয়ে তুলে দিল বড়সড় প্রশ্ন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই দুই ট্রাকের মধ্যে একটিতে ছিল সিমেন্ট বোঝাই করা। এবং অন্যটি পাথর নিয়ে যাচ্ছিল। বাঁকুড়ার হেভিরমোড়ের কাছে এসেই পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ও ওড়িশার লরি দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে দুই চালকের। তাঁদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া সম্মেলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। একই হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভরতি রয়েছেন একটি লরির খালাসি। তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে। তবে মৃত দুই চালক ও খালাসির নাম পরিচয় এখনও কিছু জানা যায়নি।
[স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে দুই সন্তানকে নিয়ে গায়ে আগুন দিলেন মা]
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত একটি ট্রাকে কোনও খালাসি ছিল না। চালক একাই গাড়ি চালচ্ছিলেন। সেই কারণেই বাঁ-দিক ফাঁকা কিনা বুঝতে পারেননি চালক। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটোদিক থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা লরিটিকে ধাক্কা মারে সেটি। সঙ্গে সঙ্গে ট্রাক দুটিতে দাউ দাউ করে আগুন লেগে যায়। তবে ঘটনার সময় এলাকা জনশূন্য থাকায় আর কেউ দু্র্ঘটনার কবলে পড়েনি। কিন্তু ভোর হতেই ব্যস্ততম ওই জাতীয় সড়কে সারি সারি দাড়িয়ে পড়ে দূরপাল্লার মালবাহী লরি। সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত ওই জাতীয় সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। ওই এলাকাতেই হাইওয়ে পেট্রোলিং দিচ্ছিলেন বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা বলছেন, “মৃত দুই চালক ও আহত খালাসিকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি আমরা।” স্থানীয়দের প্রশ্ন, এলাকায় পুলিশ থাকা সত্বেও কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? কীভাবে বিনা খালাসি নিয়েই জাতীয় সড়কে লরি চলে সে নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।