ছবি: প্রতীকী।
টিটুুন মল্লিক,বাঁকুড়া: কাজের চাপে প্রেমিক সময় দিতে না পারায় আত্মহত্যা করেছিল প্রেমিকা। প্রেমিকার মৃত্যুর খবর পেয়ে নিজেকে ঠিক রাখতে না পেরে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলে প্রেমিক। যুগলের মর্মান্তিক পরিনতিতে শোকস্তব্ধ বাঁকুড়ার সানবাঁধা এলাকায়। মৃতদের নাম টুবাই লোহার ও শিউলি মণ্ডল।
[রক্তদান জীবনদান, ৫২ বার রক্ত দিয়েও ক্লান্তিহীন কাটোয়ার জয়দেব]
পুলিশ সূত্রে খবর সানবাঁধা গ্রামের বাসিন্দা বছর পঁচিশের টুবাই লোহারের সাথে বছর চারেক ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সারদামণি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শিউলি মণ্ডলের। টুবাই সম্প্রতি এক ইন্টারনেট মার্কেটিং সংস্থার ডেলিভারি বয়ের কাজে যোগ দেন। নতুন চাকরির পর থেকেই শিউলিকে সময় দিতে পারছিল না সে। দেখা করার জন্য বারবার জোর করলেও টুবাই সময় বের করতে পারেনি। এই নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। গত বৃহস্পতিবার তাদের দুজনের মধ্যে টেলিফোনে কথা কাটাকাটি হয়। এই অবসাদে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শিউলি। তাকে উদ্ধার করে বাড়ির লোকজন বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
[রক্তদান জীবনদান, ৫২ বার রক্ত দিয়েও ক্লান্তিহীন কাটোয়ার জয়দেব]
প্রেমিকার অকাল পরিনতির খবর যায় প্রেমিক টুবাইয়ের কাছে। তাঁর পরিবার সূত্রে খবর, এরপর থেকেই টুবাই উধাও হয়ে যান। রাতভর বিভিন্ন এলাকায় তার খোঁজ করেন তার বাড়ির লোকজন। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সানবাঁধা গ্রামে টুবাইয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান এলাকার মানুষ। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জোড়া আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা হতবাক। স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত ঘোষ বলেন দীর্ঘদিনের প্রেম ওই যুগলের। এলাকার মানুষজন তাদের ‘লায়লা–মজনু’ নামেই ডাকতেন। দুজনের এমন পরিনতি কেউ মানতে পারছেন না। তবে দুই পরিবারের তরফেই মুখে খুলতে চাইছেন না কেউই। জেলা পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা জানান, মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সামান্য বিষয় থেকে মনোমালিন্য। শেষ পর্যন্ত চরম সিদ্ধান্ত। টুবাই-শিউলির অকালমৃত্যুতে সানবাঁধা এলাকায় কান্নার রোল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.