Advertisement
Advertisement

নেই জামিনদার, কোর্টের নির্দেশে এক ডজন মোষ পাহারায় পুলিশ

খোরাকি জোগাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে।

Bardhaman: Police guarding dozen of buffaloes as they have no guarantor
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 13, 2017 3:45 am
  • Updated:September 19, 2019 5:08 pm

ধীমান রায়, কাটোয়া: ছ’দিন আগে পাচারের সময় ১৬টি গরু ও ১২টি মোষ আটক করেছিল ভাতার থানার পুলিশ। গরুগুলিকে আদালতের নির্দেশে জামিনদারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মেলেনি মোষগুলির জামিনদার। আটক করা এই এক ডজন মোষ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ভাতার থানার পুলিশ। এদের পাহারা দিতেই কাটছে নিদ্রাহীন রাত।

[রংটংয়ের জঙ্গলে বাঘের গর্জন! আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা]

Advertisement

গত শুক্রবার রাতে ওই ১২টি মোষ আটক করে পুলিশ। সেই থেকেই মোষগুলি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোষগুলির দাবিদারকে থানায় আসতে দেখা যায়নি। আদালত থেকে মোষগুলি নিয়ে কোনও নির্দেশও আসেনি বলে জানা গিয়েছে। তাই পুলিশই এখন দেখাশোনা করছে ওই মোষগুলির। কাজকর্ম প্রায় লাটে উঠেছে। খাবার জোটাতে ভাতার থানার কর্মীদের কার্যত কালঘাম ছুটছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার রাতে টহলদারির সময় ভাতার থানার পুলিশ ২ বি জাতীয় সড়কে ওড়গ্রামের কাছে মোষবোঝাই একটি লরি আটক করে। ওদিন একই সময়ে বাদশাহী রোডে বিজিপুরের কাছে পুলিশ আটক করে গরুবোঝাই একটি গাড়ি। ১৬টি গরু ওদিন আটক করা হয়। দু’টি গাড়ির চালক ও খালাসি মিলে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২টি মোষকে রাখা হয়েছে ভাতার কৃষিমাণ্ডিতে। দেখাশোনার জন্য পালা করে লোক রাখা হয়েছে। পাহারার জন্য সর্বক্ষণ সিভিক ভলেন্টিয়ার্স মোতায়েন করা হয়েছে কৃষিমাণ্ডিতে।

Advertisement

[রাজস্থানের পর এবার কেরলে রহস্যমৃত্যু বাঙালি শ্রমিকের, ইন্দাসে শোকের ছায়া]

জানা গিয়েছে, মোষগুলির মধ্যে ১০টি গাভীমোষ রয়েছে। তাদের বিচালি, খোল ইত্যাদি খেতে দেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত পশু চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হচ্ছে। থানার সাবমার্সিবল পাম্প চালিয়ে স্নান করানো হচ্ছে। তবে ১২টি মোষের খোরাকি জোগাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে।

গরুগুলি মুক্তি পেলেও এখনও কেন মোষগুলিকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে? ভাতার থানার ওসি পুলক মণ্ডল জানিয়েছেন, গরু ও মোষগুলি আটকের পর কেসটি আদালতে পাঠানো হয়। গরুগুলিকে মুক্ত করার জন্য জামিনদার পাওয়া যায়। ওই জামিনদার নিজের দায়িত্বে গরুগুলি রেখেছেন। কিন্তু মোষগুলির জন্য এখনও কোনও জামিনদার পাওয়া যায়নি। স্থানীয় এলাকারও কেউ দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। তাই আদালতের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত মোষগুলি পুলিশের হেফাজতেই থাকবে বলে জানা গিয়েছে। তাই চোর-ডাকাত ধরার থেকে এখন মোষের আদর-যত্নেই ব্যস্ত ভাতার থানার পুলিশ।

অলঙ্করণ: আশিস চট্টোপাধ্যায়

[সোশ্যাল মিডিয়ায় ইচ্ছেমতো পোস্ট, অজান্তে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন কি?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ