Advertisement
Advertisement

নাবালিকার বিয়ে রুখতে গিয়ে পুলিশি হেনস্তার শিকার বিডিও

শালবনীতে চাঞ্চল্য।

BDO heckled by Police over minor marriage in Shalboni

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 16, 2017 1:11 pm
  • Updated:September 19, 2019 12:23 pm

সম্যক খান, মেদিনীপুর: নাবালিকার বিয়ে নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে পুলিশি হেনস্তার শিকার হলেন যুগ্ম বিডিও। অভিযোগ, নাবালিকার বিয়ে রুখে পাত্র-পাত্রীকে নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে ডিউটি অফিসার যুগ্ম বিডিওর অভিযোগ নিতে চাননি। সেইসঙ্গে যুগ্ম বিডিওকে থানার মধ্যেই আটকে রেখে অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি থানায় শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

[কাঠ পাচারের নয়া কৌশল, জঙ্গলের কাঠ কেটে বাড়ি বানিয়ে নিলাম!]

এদিন শালবনির মেমুলের বাসিন্দা দীপঙ্কর দাসের সঙ্গে এক নাবালিকার বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। সেইসময় গ্রামবাসীদের থেকে খবর পেয়ে মেদিনীপুর সদরের গোলাপি চকে হানা দেয় প্রশাসনিক দল। দলের নেতৃত্বে ছিলেন যুগ্ম বিডিও শান্ত চক্রবর্তী। প্রশাসনিক কর্তারা চলে আসায় বন্ধ হয়ে যায় নাবালিকার বিয়ে। বিবাহস্থল থেকে পাত্র-পাত্রী ও পাত্রের বাবা অরুণ দাসকে নিয়ে শালবনি থানায় চলে আসেন যুগ্ম বিডিও। অভিযোগ, সেইসময় থানার ডিউটি অফিসার হিসাবে কর্মরত সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় নাবালিকার বিয়ে নিয়ে যুগ্ম বিডিওর লিখিত অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। থানার মধে্য ডিউটি অফিসারের সঙ্গে যুগ্ম বিডিওর তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। যুগ্ম বিডিও শান্ত চক্রবর্তীর অভিযোগ, “থানার মধ্যে পুলিশ আধিকারিকরা আমাকে আটকে রেখে অপমান করেছেন। বুঝতে পারছি না কেন এমনটা হল! আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।”

Advertisement

[উঁচু জাতের মেয়েকে বিয়ে, জাতপাতের টানাটানিতে সবংয়ে একঘরে পরিবার]

এদিন রাতে যুগ্ম বিডিও থানা থেকেই আইসি বিশ্বজিৎ সাহাকে হোয়াটসঅ্যাপে সমস্ত ঘটনা জানান। এরপর তিনি থানা থেকে পাত্র-পাত্রী ও তাঁদের পরিবারের লোকেদের বিডিও-র গেস্ট হাউসে নিয়ে যান। সেখানেই পাত্রপক্ষ মুচলেকা দিয়ে নাবালিকা বিয়ের কথা স্বীকার করে নেয়। শালবনি থানার আইসি বিশ্বজিৎ সাহা জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত হবে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ