Advertisement
Advertisement
Maldah

১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি! মালদহের গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে FIR করলেন বিডিও

দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মচারীদের একাংশ যুক্ত রয়েছে।

BDO lodged FIR against Maldah Village Panchayet | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 23, 2022 3:46 pm
  • Updated:May 23, 2022 4:39 pm

বাবুল হক, মালদহ: ভুয়া মেমো নম্বর দিয়ে চলছে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ। বিষয়টি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসল মালদহের (Maldah) জেলা প্রশাসন। জেলাশাসকের নির্দেশে ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন বিডিও। এই দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মচারীদের একাংশ যুক্ত রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

সম্প্রতি একশো দিনের প্রকল্প নিয়ে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছিল মালদহের জেলাশাসকের দপ্তরে। অতিরিক্ত জেলাশাসক বৈভব চৌধুরী ও ১০০ দিনের প্রকল্পের নোডাল অফিসার অভিষেক চক্রবর্তীকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। সেই তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ। জেলাশাসক জানতে পারেন, ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ভুয়ো মেমো নম্বর দিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ চলছে। যা পুরোপুরি বেআইনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অর্জুন সিং তৃণমূলে ফিরতেই বড়সড় বদল বারাকপুরের দলীয় সংগঠনে, নয়া দায়িত্ব পাচ্ছেন শুভেন্দু!]

জেলাশাসকের দাবি, জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া ১০০ দিনের প্রকল্পের কোনও কাজ করা যায় না। এরপরই ইংরেজবাজারের বিডিওকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন মালদহের জেলাশাসক। যদুপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইংরেজবাজারের বিডিও। আর যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বির্তক। তবে পঞ্চায়েতের কোন সদস্য এবং কোন কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।

Advertisement

জেলা বিজেপির দক্ষিণ মালদহের সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “ভুয়ো মেমোর কথা বলা হচ্ছে। আমরা মনে করি, এটা সঠিক মেমো নম্বর। এখন বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে। সেই ভয়ে ভুয়ো মেমো নম্বর বলে বিডিওদের দিয়ে এফআইআর করানো হচ্ছে।” তাঁর কথায়, “আমরা দেখছি, মনরেগা প্রকল্পের ১০ শতাংশ কাজ হয়নি। শাসকদলের নেতাকর্মীরা সেই টাকা চুরি করেছে। এর সঙ্গে বেশকিছু কর্মী জড়িত রয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা আইনগত সমস্ত ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে এর শেষ দেখে ছাড়ব।” পালটা দিয়েছে তৃণমূলও।

[আরও পড়ুন: ‘বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব আমাকে বিশ্বাসই করত না’, দলবদলের পরদিনই বিস্ফোরক অর্জুন]

জেলা তৃণমূল নেতা তথা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “প্রথমত, দুর্নীতির সঙ্গে আমাদের নেত্রী আপোস করেন না। যে এই দুর্নীতি করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারওর স্বাক্ষর জাল করেছে। তার তদন্ত এক্সপার্টরা করবে। গরিব মানুষের টাকা লুটেপুটে খাবে এই সরকার তা বরদাস্ত করবে না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ