রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: জনসংযোগে আরও গুরুত্ব দিতে স্থানীয় উৎসব, অনুষ্ঠানকেই বেছে নিচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা। সোমবার সন্ধ্যায় আলিপুরদুয়ারে দেখা গেল সেই ছবি। আদিবাসী মেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মঞ্চে মাদল বাজিয়ে, নাচতে শুরু করেন তৃণমূল সাংসদ দশরথ তিরকে। আর একই তালে আদিবাসী রমণীদের হাত ধরে কোমর দুলিয়ে নাচলেন শামুকতলা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও, গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। সোমবার শামুকতলার সাঁওতালপুর মিশন হাইস্কুলের মাঠে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিরা এভাবে মিশে যাওয়ায় আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠল উৎসব।
গত শনিবার থেকে আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লক এলাকার শামুকতলার সাঁওতালপুর মিশন হাইস্কুলের মাঠে ব্লক স্তরের উদ্যোগে শুরু হয়েছে আদিবাসী মেলা। সমাপ্তি অনুষ্ঠান ছিল সোমবার। সেই অনুষ্ঠানে মঞ্চে ভাষণ দিতে উঠে মাদল কাঁধে নিয়ে বাজাতে শুরু করেন সাংসদ দশরথ তিরকে। দ্রিমি দ্রিমি আওয়াজের তালে নাচও করেন তিনি। মাদলের তালে আদিবাসী রমণীদের হাত ধরে কোমর দুলিয়ে নাচতে শুরু করেন শামুকতলা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও সাংগে প্রেমা ভুটিয়া। তাঁকে দেখে নাচে যোগ দেন শামুকতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মনিকা কেরকাট্টা। আর তাতেই নতুন মাত্রা পেয়ে যায় আদিবাসী মেলা। শেষ দিনটা সকলে প্রাণভরে উপভোগ করেন সকলে৷
[পুণ্যার্জনের আশায় সাগর সঙ্গমে, অসুস্থ হয়ে ২ দিনে মৃত্যু ৪ তীর্থযাত্রীর]
কিন্তু এমন মেলায় জনপ্রতিনিধিরা এত সক্রিয় হয়ে উঠলেন কেন? বিডিও সাংগে প্রেমা ভুটিয়া বলেন, ‘এদিন আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলাম। সেই কারণে তাঁদের সঙ্গে কোমর দুলিয়ে নেচেছি। মানুষের কাছে না গেলে মানুষের কাজ করা যায় না। সেই কারণেই তাঁদের আনন্দে নিজেকে শামিল করেছি।’ সাংসদ দশরথ তিরকে নিজেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বলে পরিচয় দিয়ে জানান, ‘ধামসা মাদলের তালে এই প্রথম নাচলাম, তেমন তো নয়। বরাবরই ধামসা মাদলের তালে নাচতে ভালোবাসি। সোমবার সুযোগ পেয়েছি। তাই মাদল বাজিয়ে নাচলাম।’ বারবার বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে একটি বার্তাই দিয়েছেন, মানুষের জন্য কাজ করাই দল এবং সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। আর তা করতে হলে, এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে হবে। পৌঁছতে হবে প্রতিটি মানুষের কাছে। তাঁর নির্দেশ মেনেই আলিপুরদুয়ারের জনপ্রতিনিধিদের এমন পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দেখুন ভিডিও: