Advertisement
Advertisement

Breaking News

Paddy

কৃষকদের জন্য সুখবর, ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত রাজ্যের

ইতিমধ্যে ধান সংগ্রহের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

Bengal government increase the subisidized price of paddy ।Sangbad Pratidin

Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 28, 2020 9:40 pm
  • Updated:October 28, 2020 9:40 pm

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কৃষি আইনের (Farm Law 2020) প্রতিবাদে শারদোৎসবের আগে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। একইসঙ্গে শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বিলেই নির্দিষ্ট করে দিক কেন্দ্র সরকার, এমন দাবিও উঠেছিল। বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছিল। রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে তার প্রতিবাদ করেন। এবার উৎসবের মরশুমেই আরও এক পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। খাদ্য দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী নভেম্বর মাস থেকে যে খরিফ মরশুমের ধান সংগ্রহের কাজ শুরু হবে, তার জন্য চাষিদের কুইন্টাল প্রতি ৫০ টাকা বর্ধিত সহায়ক মূল্য দেবে সরকার। আগের মরশুমে যে সহায়ক মূল্য ছিল কুইন্টাল প্রতি ১৮১৮ টাকা। পরবর্তী মরশুমে সেই মূল্যই হবে ১৮৬৮ টাকা। এমনকী, সরকার নির্ধারিত সেন্টারে এই ধান চাষিরা বিক্রি করলে কুইন্টাল প্রতি বাড়তি আরও ২০ টাকা দেওয়া হবে।

খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষকদের উৎসাহ দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত অক্টোবর মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বিগত খরিফ মরশুমে ধান সংগ্রহ হয়েছে ৪৮.০৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান। তার মধ্যে বোরো ধানের পরিমাণ ১৮ লক্ষ মেট্রিক টন। প্রতি বছর যেখানে পাঁচ লক্ষ মেট্রিক টন বোরো ধানের প্রয়োজন পড়ে, সেখানে এ বছর ১৩ লক্ষ মেট্রিক টন বাড়তি বোরো ধান কেনা হয়েছে। কোভিড (Covid-19) পর্বে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দাবি মেটাতেই এই বাড়তি ধান সংগ্রহ করতে হয়েছে। আগামী বছর জুন মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন বিলির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সে কথা মাথায় রেখে আগামী মরশুমের জন্য মোট ৫২ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে চাষিদের জন্য নির্ধারিত সহায়ক মূল্য অনলাইন ও ডিবিটিতে অর্থাৎ সরাসরি তাঁদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাময়িক স্বস্তি, ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় সংক্রমণের তুলনায় করোনা জয়ীর সংখ্যা বেশি]

ইতিমধ্যে এই ধান (Paddy) সংগ্রহের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ১০ নভেম্বর থেকে সংগ্রহও শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। গত খরিফ মরশুম অর্থাৎ ১ অক্টোবর ২০১৯ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ১৪.৪৫ লক্ষ চাষির কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছিল। তাঁদের আর নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করার দরকার পড়বে না। তবে চাইলে কোনও তথ্য আপডেট করতে পারেন তাঁরা। অন্নদাত্রী অ্যাপ থেকেও এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সারা যাবে। এ বছর অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আরও সহজ করার জন্য আরও একটি উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্য দপ্তর। জানানো হয়েছে, একটি অঞ্চল থেকে যে কোনও একজন কৃষক মোবাইল থেকেই ২০ জনের নাম রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে কৃষকদের মধ্যে সকলে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনে সড়গড় নন। সেক্ষেত্রে যিনি সড়গড়, তিনি একসঙ্গে ২০ জনের কাজ করে দিতে পারবেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিজেপি নেতার মৃত্যুর পরই বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিকাণ্ড, বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টা বাগনান বন্‌ধ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ