সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস অনুগামী স্কুলগুলির বিরুদ্ধে কঠোর বন্দোবস্ত নেবে রাজ্য সরকার। এবার এমনটাই জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘রাজ্য সরকারের করা একটি সমীক্ষার ভিত্তিতে আমাদের হাতে রিপোর্ট এসেছে রাজ্যের ৪৯৩টি স্কুল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ দ্বারা অনুপ্রানিত। এদের মধ্যে আবার ১২৫টি সরকারি স্কুল সরকারের থেকে কোনও প্রকার অনুমোদন ছাড়াই তাঁদের ছাত্রদের জন্য বিশেষ কিছু ট্রেনিংয়ের আয়োজন করেছে। আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন বসিয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি এই ধরনের কার্যকলাপ সরকার বন্ধ করে দেবে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘এই সব স্কুলগুলিতে হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের শিক্ষা দিতে গিয়ে ছাত্রদের লাঠি খেলা শেখানো হয়। আর ছাত্রদের হিংস্রতা শেখানোর জায়গা স্কুল নয়। তাই অবিলম্বে যাতে এই ধরনের পাঠ বন্ধ করা হয়, সেই দিকে নজর রাখছি আমরা।’
[বঙ্গবন্ধুর অটোগ্রাফ আজও অমলিন, ভাষা দিবসের আগে আবেগে ভাসলেন চার বন্ধু]
সূত্রের খবর, রাজ্যের অধীনে থাকা বিদ্যালয়গুলি রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া কোনও বিশেষ প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা ব্যবস্থা ছাত্রদের জন্য অনুমোদন করতে পারে না। এই ক্ষেত্রে ৪৯৩টি স্কুলের বিরুদ্ধে ওই নিয়ম লঙ্ঘন করার অপরাধ আরোপ করছে সরকার। আর সেই জন্যই ওই নির্দিষ্ট বিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার এবং কয়েকদিনের মধ্যে এই স্কুলগুলির বেশ কয়েকটিকে বন্ধও করে দেওয়া হতে পারে।
এবিষয়ে রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের সংঘের সম্পাদক জিষ্ণু বসু জানিয়েছেন, ‘ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি বন্ধ করে দেওয়ার আগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উচিত একবার অন্তত ওইসব জায়গায় নিজে গিয়ে পরিদর্শন করে আসা। কারণ স্কুলগুলির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তিনি এনেছেন সেগুলোর সত্যতা যাচাই না করেই এইরকম পদক্ষেপ তিনি নিতে পারেন না। বরং সরকারের ওই শিক্ষাকেন্দ্রগুলির শিক্ষার মান উন্নত করা প্রয়োজন, যাতে ছেলে মেয়েগুলি বড় হয়ে বলতে পারে যে তাঁরা শিক্ষিত। সেসব দিকে নজর না দিয়ে উনি আগেই স্কুলগুলো তুলে দেওয়ার কথা ভাবছেন।কারণ স্কুলগুলি আজ থেকে বহু বছর আগে বাম আমলে তৈরি হয়েছিল। একবারও এটা ভেবে দেখছেন না শিক্ষাকেন্দ্রগুলি বন্ধ হয়ে গেলে ওই এলাকার ছাত্ররা কোথায় পড়াশোনা করবে?’
[কন্যাসন্তান হলে তালাকের হুমকি, অপমানে আত্মঘাতী জলপাইগুড়ির তরুণী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.