Advertisement
Advertisement

মিষ্টি-লুচি খাইয়ে কাটোয়া স্টেশনের ১৮ কুলিকে ভাইফোঁটা যুবতীদের

নতুন বোনেদের জন্য কুলিরাও তুলে দিলেন উপহার৷

Bhai dooj on Katwa station
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:November 9, 2018 6:00 pm
  • Updated:November 9, 2018 6:00 pm

ধীমান রায়, কাটোয়া: পেটের টানে ছেড়েছে সংসার৷ ভিন্ রাজ্যে এসে নিজের শক্তি দিয়ে করেন কুলির কাজ৷ রুটি-রুজির তাগিদে বাড়ি ছেড়ে রাতের পর রাত জীবন কাটাতে হয় প্ল্যাটফর্মে৷ কাটোয়া রেলস্টেশনে এমনই ১৮ জন কুলিকে শুক্রবার ভাইফোঁটা দিল শহরের একটি সাংস্কৃতিক সংস্থা৷ শুধু ভাইফোঁটা দেওয়াই নয়, পাত পেরে তাঁদের খাওয়ানো হল একাধিক মিষ্টান্ন, লুচি-তরকারি৷ অপ্রত্যাশিতভাবে এদিন কাটোয়ার ৭-৮ জন বোনের হাত থেকে ভাইফোঁটা পেয়ে আপ্লুত কুলি পেশাজীবী মানুষরাও। চাঁদা তুলে বোনেদের হাতে তুলে দিলেন উপহার৷

[ভিন রাজ্যে গিয়ে নিখোঁজ ভাই, ছবিতে ফোঁটা দিদির]

কাটোয়া রেলস্টেশনে প্রায় ১৮-২০ জন কুলি রয়েছেন৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের প্রায় সকলেই ভিন এলাকা থেকে আগত। বছরের পর বছর তাঁরা রেলপ্ল্যাটফর্মে জোট বেঁধে রয়েছেন রুজি রোজগারের তাগিদে। অনেকেরই বাড়ি বিহার অথবা ঝাড়খণ্ড এলাকায়। বছরের এক দু’দিন তাঁরা ছুটি নিয়ে বাড়ি যান।

Advertisement

[ভাইফোঁটা নিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, মৃত একই পরিবারের ৩ জন]

Advertisement

কাটোয়ার শ্রেষ্ঠা নাট্য আ্যকাডেমির আয়োজনে শুক্রবার ১৮ জন কুলিকে ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়। সংস্থার কর্মকর্তা রিতা রায়ের সঙ্গে শেখ হাসিনা, হীরা বন্দ্যোপাধ্যায়, মিতালী ঘটক-সহ কয়েকজন সদস্যা ছিলেন। ৭-৮ জন মিলে তাঁরা ১৮ জন কুলিকে ভাইফোঁটা দেন। ভাইফোঁটা উপলক্ষে থালা ভর্তি মিষ্টি ও লুচি তরকারি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয় সংস্থার তরফে৷ কাটোয়া রেল স্টেশনে কর্মরত কুলি সিয়ারাম সিং, জিয়াল শেখ, রামানন্দ তাঁতিরা বলেন, ‘‘আমরা ভিন্ রাজ্য থেকে কাজ করতে এসেছি। কাজ ছাড়া আমাদের অন্যকোনও জীবন নেই। কিন্তু, এই একটি পবিত্র দিনে আমরা স্থানীয় কয়েকজন বোনের কাছ থেকে যে ব্যবহার পেলাম তা আমাদের বাড়ি ছেড়ে থাকার দুঃখ ভুলিয়ে দিয়েছে।” এদিন ওই কুলিরাও তাঁদের সাধ্যমত কিছু উপহার তুলে দিয়ে বোনেদের আর্শিবাদ করেন।

[বাঘের আতঙ্কে বেঙ্গল সাফারিতে বন্ধ ‘লেপার্ড সাফারি’, উদ্বেগে পর্যটন মহল]

শুক্রবার একটি বেসরকারি ব্যাংকের তরফে গুসকরা এলাকার কয়েকটি পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিশুদের নিয়ে ভাইফোঁটা পালন করা হয়৷ ব্যাংকের ম্যানেজার জয়ন্ত চট্টরাজ জানিয়েছেন, ব্যাংক কর্মীরা চাঁদা তুলে এই আয়োজন করেন। ৮ জন শিশুকে অফিসে ডেকে এনে তাদের ফোঁটা দেন ব্যাংকের মহিলা কর্মীরা। সঙ্গে চকোলেট, কেক, পেন ইত্যাদি সামগ্রী উপহার তুলে দেওয়া হয় ওই আট শিশুর হাতে। গুসকরা শহরের নিউটাউনপাড়ায় স্থানীয় এক ব্যবসায়ী দীপঙ্কর মণ্ডলের উদ্যোগে গণভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়৷ আউশগ্রাম ১ ব্লকের সাতটি অঞ্চলের মিলে ১৭৩ জনকে ভাইফোঁটা দেওয়া হয়৷

ছবি: জয়ন্ত দাস।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ