সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ- খানিকটা এই অজুহাতেই রাতারাতি জঙ্গলমহলের ওএসডি পদ থেকে তাঁকে বদলি করেছিল নির্বাচন কমিশন। ভোটপর্ব চুকতে এবার কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ভারতী ঘোষ।
পশ্চিমবঙ্গে সুষ্ঠু ভোট করাতে পুলিশি পদে একাধিক রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বিভিন্ন জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এসপিদের। সেই তালিকায় ছিলেন ভারতী ঘোষও। ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পর কমিশনের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে এ রাজ্যে তিনি পরিচিত। জঙ্গলমহলে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেতেই ওএসডি পদে নিয়োগ হয়েছিল তাঁর। কিন্তু কেন তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল, তা স্পষ্ট নয় খোদ ভারতীর কাছেই। তাঁর দাবি, ঠিক কোন অভিযোগে তাঁকে সরানো হয়েছে তা তাঁকে জানানো হয়নি। ভোট চলাকালীন কমিশনের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছিলেন তিনি। ফলাফল ঘোষণার পর কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন ভারতী।
জেলাশাসকদের রিপোর্ট ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই রদবদলের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। একাধিক এসপিদের সরিয়ে দেওয়া হলেও কেউই এ নিয়ে মুখ খোলেননি। ভারতীই প্রথম এ ব্যাপারে সরব হয়ে মামলা দায়ের করলেন।
ভোট চলাকালীন রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার শেষ হয়েছিল এবারের ভোটে। পুলিশ যে প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করেছে এ কথা মেনেছিল সব পক্ষই। কড়া পদক্ষেপের জন্য কমিশনকে সাধুবাদও জানিয়েছিল বিরোধীরা। কিন্তু শাসকদল বরাবর অভিযোগ করেছিল, কমিশন বিরোধীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েই রাজ্য পুলিশে ব্যাপক রদবদল করছে। ভারতীর এই মামলা যেন সেই অভিযোগকেই মান্যতা দিল।